মাহমুদুলের মুক্তির দাবিতে রংপুর আদালত চত্বরে বেরোবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হকের মুক্তির দাবিতে রংপুর আদালত চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তারা এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, 'মাহমুদুল স্যারের মুক্তি চাই দিতে হবে', 'জুলাই নিয়ে বাণিজ্য করতে দেওয়া হবে না'।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেরোবি শিক্ষার্থী ইশতেহাক সায়নাব বলেন, 'মাহমুদুল স্যার নির্দোষ। তিনি জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে তাকে মিথ্যা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা স্যারের মুক্তির জন্য আদালত চত্বরে সমবেত হয়েছি। স্যারের জামিন না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।'
অপর শিক্ষার্থী পারভেজ হোসেন বলেন, 'মাহমুদুল স্যারকে যে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে, সেটা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। কোনো তদন্ত ছাড়াই স্যারের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।'
বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল হকের স্ত্রী মাসুবা হাসান মুন জানান, 'জামিন শুনানির জন্য আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি আদালত তাকে জামিন দিবেন।'
তিনি বলেন, 'মুদি দোকানদার ছমেছ উদ্দিন হত্যা মামলায় আমার স্বামীকে আসামি করা হয়েছে। অথচ, তার মৃত্যু হয়েছে স্ট্রোক করে। শুধুমাত্র হয়রানি করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার স্বামীকে আসামি করা হয়েছে।'
২০২৪ সালের ২ আগস্ট রংপুর নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডের রাধাকৃষ্ণপুর এলাকার মুদির দোকানী ছমেছ উদ্দিন (৬৫) স্ট্রোক করে মারা যান। এর ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর গত ৩ জুন নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৬০) রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজীরহাট থানার একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে শিক্ষক মাহমুদুল হককে ৫৪ নম্বর আসামি করা হয়।
মামলাটি রেকর্ড করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আল মামুন শাহ এবং তিনি নিজেই তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন।
১৯ জুন বিকেল সাড়ে ৩টায় রংপুর মহানগরীর ধাপ এলাকার নিজ বাসা থেকে মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
Comments