ইরানে মার্কিন হামলার জেরে বিশ্ববাজারে তেল ও ডলারের দাম বেড়েছে

লিয়নডেলব্যাসেল হিউস্টন তেল পরিশোধনাগার। প্রতীকী ফাইল ছবি: এএফপি
লিয়নডেলব্যাসেল হিউস্টন তেল পরিশোধনাগার। প্রতীকী ফাইল ছবি: এএফপি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এশিয়াসহ বিশ্ববাজারের অনেক জায়গায় তেলের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে ডলারের দামও।

আজ সোমবার রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।

ইতোমধ্যে 'বিশ্ব জ্বালানির লাইফলাইন' হিসেবে পরিচিত হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়টি পার্লামেন্টে অনুমোদন দিয়েছে ইরান। এখন অপেক্ষা দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কমিশনের অনুমোদনের।

অপরদিকে, ইরানও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অবস্থানে স্থাপিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছে।

সংঘাত বেড়ে যাওয়া ও হরমুজ প্রণালি বন্ধের আশঙ্কায় জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের নবম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরান।

দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৩৩ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। এই তেলের প্রায় ৫০ শতাংশই রপ্তানি হয়।

বিশ্লেষকদের মত, ইসরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে। হরমুজ প্রণালি দিয়ে সারা পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল পারাপার হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান কৌশলগতভাবে হরমুজ প্রণালিতে জাহাজ চলাচলে বাধা দিলে ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি কমপক্ষে ১০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সোমবার ব্রেন্ট তেলের দাম ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ১২ ডলার আর যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ৯৮ ডলার। অন্যদিকে সোনার দাম সামান্য শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৩৬৩ ডলার।

তবে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরবে এশিয়ার বাজারে। কারণ এশিয়ার দেশগুলো জ্বালানির বড় আমদানিকারক। তাই ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ১০ ডলার বেড়ে গেলে এশিয়ার অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পরবে।

এদিকে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের পর অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে।

তবে এই মূল্য বৃদ্ধি কতদিন থাকে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এর বিশ্লেষকেরা।

ব্লুমবার্গের বাজার বিশ্লেষক সেবাস্তিয়ান বয়েড বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে সীমিত আকারে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ায় ডলারের দাম বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে আবারও দাম কমতে শুরু করবে।

তবে পেপারস্টোনের বিশ্লেষক ক্রিস ওয়েস্টন মনে করেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার 'কঠোর উদ্যোগ' না নিয়েও ইরান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ক্ষতি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, ইরান যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করতে পারে এমন বিশ্বাস তৈরি করতে পারে, তাহলে পরিবহন খরচ এমনভাবে বাড়তে পারে যা অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসের সরবরাহে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

Comments

The Daily Star  | English

3 killed in Iranian missile strike on southern Israel, says MDA

Trump brokered ceasefire agreement in contact with Israel, Iran: White House official

2d ago