শোবিজে আলোচিত ৫ বিচ্ছেদ

জীবনে প্রেম-ভালোবাসা যেমন আসে, তেমনি আসে বিচ্ছেদও। ভালোবাসার পরিণতিতে মানুষ যেমন ঘর বাঁধে, অনেক সময় সম্পর্কে ফাটল ধরলে বেছে নিতে হয় বিচ্ছেদের পথও।
দেশের শোবিজের আলোচিত পাঁচ বিচ্ছেদের ঘটনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের আজকের আয়োজন।
দিলশাদ নাহার কনা সংগীতে ক্যারিয়ার করেছেন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। ভালো ভালো গান করেছেন। স্টেজ, প্লেব্যাক, টেলিভিশনের লাইভ গান—সব মিলিয়ে ব্যস্ত আছেন। তার গাওয়া একাধিক গান আলোচিত হয়েছে। সবশেষ 'দুষ্টু কোকিল' গানটি করে আলোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি কনার সংসারজীবনে বিচ্ছেদ ঘটেছে। এই ঘটনার সত্যতার খবর কনা নিজেই ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন সবাইকে। লিখেছেন, 'গত ১৬ জুন ২০২৫ আমি এবং গোলাম মোহাম্মদ ইফতেখার গহিন বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছি।' হঠাৎ করে ফেসবুকে কনার বিচ্ছেদের খবর বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ব্যবসায়ী রাকিবকে। দুজনে সংসার শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে। ব্যবসায়ী রাকিবের সঙ্গে সংসার জীবন বেশ ভালোই চলছিল। তাদের সংসারে একজন সন্তানও আছে। মাহিয়া মাহি যখন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেন, তখন স্বামী রাকিব বেশ সমর্থনও করেন। কিন্তু একই ছাদের নিচে থাকা হয়নি তাদের। গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। মাহিয়া মাহির বিচ্ছেদ ঢাকাই শোবিজের আরও একটি আলোচিত ঘটনা।
রাকিবের আগে মাহি বিয়ে করেছিলেন পারভেজ মাহমুদ অপুকে। সেই সংসারও টেকেনি।
ঢাকাই শোবিজের অন্যতম একটি বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে তানিয়া-টুটুলের সংসার জীবনের ইতি টানার খবর। টানা ২৩ বছর সংসার করেছেন অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ ও সংগীতশিল্পী এসআই টুটুল। তাদের সন্তান বড় হয়ে গেছে। অনেকেই মনে করতেন, বেশ সুখে আছেন তারা। কিন্তু দুজনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। আলাদাও থাকছিলেন তারা। দুই বছর আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এসআই টুটুল আমেরিকায় বসবাস করছেন বেশ কবছর ধরে। তানিয়া আহমেদও আছেন একই দেশে। কিন্তু বিচ্ছেদ তাদের পথ আলাদা করে দিয়েছে।
গুঞ্জন আছে—'গুণিন' সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও নায়ক শরিফুল রাজ। সেই প্রেম-ভালোবাসা গড়িয়েছিল বিয়েতে। ভালোবাসার ফসল হিসেবে দুজনে সংসার জীবনও শুরু করেছিলেন। তাদের ঘরে পুত্র সন্তানও আছে। সংসার জীবন শুরুর পর দুজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গিয়ে চমকে দিতেন আয়োজকদের। সেই সময় সবাই ভাবতেন, কতই না সুখে আছেন তারা! কিন্তু ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ে। পরীমনির দিক থেকেই শোনা যায়, রাজ সেভাবে পরিবার ও সন্তানের খোঁজ নিচ্ছেন না। এভাবে চলতে থাকে আরও কিছুদিন। দূরত্ব বাড়ার পর ফের তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয় যেন দূরত্বটা না থাকে। ফের কিছুদিন সেটি অব্যাহত থাকে। যদিও শেষমেশ সংসার টেকেনি। তারপর, দুজনার দুটি পথ চলে যায় দুই দিকে।
এদেশের শোবিজের আরেকটি আলোচিত বিচ্ছেদ চলচ্চিত্র নায়িকা পূর্ণিমার সংসার জীবনের ইতি টানা। ২০০৭ সালে ঢালিউডের সেই সময়ের শীর্ষ নায়িকা পূর্ণিমা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। পূর্ণিমার বিয়ে তখন খুব আলোচিত হয়েছিল আহমেদ জামাল ফাহাদকে জীবনসঙ্গী করায়। তারা দীর্ঘদিন সংসার করেছেন। দুজনের ঘর আলো করে আসে এক সন্তান। ২০১৯ সালে বিচ্ছেদ ঘটে পূর্ণিমা ও ফাহাদের। অবশ্য, পরে পূর্ণিমা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার স্বামীর নাম আশফাকুর রহমান রবিন। বর্তমান স্বামী আশফাকুর রহমানের সঙ্গে কয়েকবছর আগে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব এবং অবশেষে বিয়ে। কিন্তু পূর্ণিমার প্রথম বিয়ের বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি তার ভক্তরা।
Comments