সেই প্রাণঘাতী পদদলনের জন্য কোহলির আরসিবিকে দায়ী করেছে কর্ণাটক রাজ্য

ভারতে সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে নেয় বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। জয়ের পর বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত হয় বিজয় মিছিল। যেখানে প্রাণঘাতী পদদলনের জন্য রীতিমতো কাঠগড়ায় উঠেছে দলটি।
গত ৪ জুন এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের আশপাশে আয়োজিত এই উদযাপনে লাখো মানুষের ঢল নামে। কোহলি ও তার আরসিবি দলকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয় উৎসবমুখর জনতা। তবে সেই আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হয়, যখন মারাত্মক ভিড়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান অন্তত ১১ জন, আহত হন ৫০ জনের বেশি। নিহতদের বয়স ছিল ১৪ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে।
এই ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, আরসিবি, তাদের সহযোগী সংস্থা এবং কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন—এই তিন পক্ষের 'ব্যবস্থাপনাগত গাফিলতিই' এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়োজকেরা যথাযথভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমতির আবেদন করেননি, কিংবা আয়োজন সম্পর্কিত পর্যাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করেননি। ফলস্বরূপ, পুলিশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানটির অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তবুও তারা বিজয় মিছিল চালিয়ে যান।
পদদলনের ঘটনার পর আরসিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ডিএনএ ও কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন প্রতিনিধিকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শোক জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, "এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক", আর ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করা বিরাট কোহলি বলেন, "আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।"
ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলেন, "আমি কখনোই রোড শোয়ের পক্ষপাতী ছিলাম না। প্রশাসনের উচিত ছিল যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া এমন ভিড় জমতে না দেওয়া।"
এখন প্রশ্ন উঠেছে শিরোপার আনন্দে গোটা শহর মাতলেও, কীভাবে এমন প্রাণঘাতী অব্যবস্থা ঘটল? আরসিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই ঘটনায় আরসিবির শিরোপা উদযাপন ইতিহাসে এক চরম বিষাদের ছাপ রেখে গেল।
Comments