‘সন্তানের এমন করুণ মৃত্যু আর কোনো বাবা-মাকে যেন দেখতে না হয়’

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী উক্যছাইং মারমা মারা গেছে।

সোমবার দিবাগত রাত ২টা ২৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

উক্যছাইং মারমার বাড়ি রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়ায়। তার বাবা উসাইমং রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আর মা ডেইজিপ্রু মারমা বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ক্যকথাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উক্যছাইং মারমার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। 

মা ডেইজিপ্রু মারমার আহাজারিতে ভারী হয়ে যায় আকাশ। 'একমাত্র ছেলে আমাদের এভাবে ফেলে চলে গেল। শেষবারের মতো আমাদের দেখতে চেয়েও পায়নি', এই বলে বিলাপ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।

বাবা-মায়ের সঙ্গে উক্যছাইং মারমা। ছবি: সংগৃহীত

বাবা উসাইমং মারমা বলেন, 'ছেলেকে নিয়ে কত আশা, কত স্বপ্ন ছিল, কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। সন্তানের এমন করুণ মৃত্যু আর কোনো বাবা-মাকে যেন দেখতে না হয়।'

ঢাকার মতো জনবহুল শহরে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের অনুমতি না দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

উক্যছাইং মারমার দাদি ক্রাতু মা মারমা বলেন, 'অনেক আদরের নাতি ছিল সে। কষ্টে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে।'

বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা বলেন, 'উক্যছাইং মারমা আমাদের সবার প্রিয় ছিল। পড়াশোনায়ও ছিল অত্যন্ত ভালো। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি।'

আজ বুধবার স্থানীয়ভাবে উক্যছাইং মারমার দাহক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। 

Comments

The Daily Star  | English

The consensus to keep women out

The project of egalitarianism cannot be subcontracted to the very custodians of inequality.

9h ago