রাজস্থানে স্কুলের ছাদ ধসে ৪ শিশুর মৃত্যু, আহত ১৭

রাজস্থানের ঝালাওয়াড়ের স্কুলে ছাদ ধসে পড়ার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: স্টেটসম্যান
রাজস্থানের ঝালাওয়াড়ের স্কুলে ছাদ ধসে পড়ার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: স্টেটসম্যান

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ঝালাওয়াড়ে জেলার একটি সরকারি স্কুলের ছাদ ধসে চার শিশু নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

আজ শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও স্টেটসম্যানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঝালাওয়াড়ের মনোহর থানা এলাকার পিপলোড়ি গভর্নমেন্ট স্কুল ভবনের ছাদ ধসে যায়।

ঝালাওয়াড় পুলিশ সুপার অমিত কুমার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, 'এ দুর্ঘটনায় চার শিশু মারা গেছে। অপর ১৭ জন আহত হয়েছে। ১০ শিশুকে ঝালাওয়াড় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন থেকে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'

পুলিশ জানায়, শিক্ষক ও গ্রামবাসীদের সহায়তা ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুদের উদ্ধার করা হয়। তারপর কাছের একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নেওয়া হয়।

স্টেটসম্যান প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ছাদ ধসে পড়ার সময় শ্রেণিকক্ষে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে হঠাৎ ছাদ ধসে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা চিৎকার শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে পুরো এলাকা ধুলোয় ভয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষ ভেঙে পড়া নির্মাণসামগ্রীর নিচে চাপা পড়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে কাজ করছে। ঘটনাস্থলে জরুরি চিকিৎসাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে জরুরিভিত্তিতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার জানান, এই ঘটনার কারণ জানতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চালানো হবে।

তিনি কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে যেতে ও শিশুদের সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।

গুরুতর আহত দুই শিশুকে বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং ছয়জন এসআরজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান মনোহর থানার পরিদর্শক নন্দীকিশোর।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago