জাতিসংঘে দুই-রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে বৈঠক, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বয়কট

জাতিসংঘের সদর দপ্তরের বাইরে গাজার যুদ্ধ অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের সদর দপ্তরের বাইরে গাজার যুদ্ধ অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘ সময় ধরে মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'দুই-রাষ্ট্র' সমাধান আলোচনায় রয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি পৃথক, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের এই সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে জাতিসংঘে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

তবে যথারীতি, এই সম্মেলনে বয়কট করছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্য এ ধরনের একটি সম্মেলনে আয়োজনে সম্মতি দেয়। ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে এই সম্মেলনটি জুনে আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও ইরানে ইসরায়েলের হামলার কারণে তা পিছিয়ে যায়।

এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা। এমনভাবে এই রোডম্যাপ তৈরি করা হবে যাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

রোববার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল ব্যারো সংবাদমাধ্যম লা ট্রিবিউন দিমান'শকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তারা এ সপ্তাহের সম্মেলনকে অন্যান্য দেশকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে উদ্বুদ্ধ করার কাজে লাগাবেন। 

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

জাতিসংঘের এই সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এই সম্মেলনকে 'হামাসের জন্য উপহার' হিসেবে অভিহিত করে বলেন, 'ইসরায়েল মেনে নিলেও হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, যা জিম্মিদের মুক্তি ও গাজায় শান্তি নিশ্চিত করতে পারতো।'

মুখপাত্র আরও জানান, গত বছর এই সম্মেলন আয়োজনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল ওয়াশিংটন। দেশটি এমন কোনো উদ্যোগে যেতে চায় না যা এই সংঘাতের দীর্ঘমেয়াদী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলও এই সম্মেলন বর্জন করেছে।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক মুখপাত্র জনাথান হারুনফ বলেন, 'এই সম্মেলনে হামাসের কার্যক্রমের প্রতি নিন্দা জানানোর ও বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার কোনো লক্ষ্য রাখা হয়নি।'

সুরক্ষিত ও স্বীকৃত সীমানা বজায় রেখে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধারণার প্রতি দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন জানিয়ে এসেছে জাতিসংঘ।

ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা ও ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের দখল করা ভূখণ্ডের সমন্বয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন হতে দেখতে চায়।

গত বছরের মে মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে সদস্য-রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩ ও বিপক্ষে মাত্র ৯টি ভোট পড়ে। 

তবে এই উদ্যোগের কয়েক সপ্তাহ আজেই নিরাপত্তা পরিষদে একই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago