নাটোরে চাঁদা না পেয়ে ১০ দোকানে তালা, জামায়াত নেতাসহ ৪ জন কারাগারে

চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার চারজন। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদা না পেয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর বাজারের ১০টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জামায়াত নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ, রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রুহুল আমিন, তার ভাই আজিমুদ্দিন, মো. হায়দার আলী ও তার বাবা মুজিবর রহমান।

আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি।

ওই বাজারের দোকানদার মো. জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, গতকাল সকালে রুহুল আমিন তার লোকজন নিয়ে বাজারে এসে হামলা চালায় এবং দোকানপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

তিনি জানান, গ্রামের কবরস্থানের পাশে ১০টি দোকান অবস্থিত এবং প্রায় ৭০ বছর আগে তারা ছয় শতক জমি কিনে সেখানে এসব দোকান স্থাপন করেন।

জাহাঙ্গীর বলেন, 'হামলাকারীরা আমাদের দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করে এবং পরে তালা লাগিয়ে দেয়।'

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সারোয়ার জানান, ভুক্তভোগীরা বিষয়টি সেনাবাহিনী ক্যাম্পে জানালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তালা খুলে দোকানগুলো তাদের মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেন বলে জানান ওসি।

ওসি আরও বলেন, 'দোকান বন্ধ করে দেওয়া ও চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।'

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক দোকানদার বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আবু বকর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে একজন জামায়াত নেতা থাকলেও এটি রাজনৈতিক কোনো ঘটনা নয়।'

তিনি বলেন, 'এটি সম্পূর্ণভাবে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ, রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।'

আবু বকর দাবি করেন, আজ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জামায়াত তাদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US tariff at 20% 'satisfactory', says Khosru

Will comment after knowing full details of the deal

2h ago