কেইনকে না আনায় ইউনাইটেডের ওপর ক্ষুব্ধ এটকিনসন

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আক্রমণভাগে একজন বিশ্বমানের স্ট্রাইকারের অভাব নতুন কিছু নয়। বছরজুড়ে বিভিন্ন তারকাকে ঘিরে গুঞ্জন তৈরি হলেও সমাধান আসেনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। এরই মধ্যে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইনকে না পাওয়ার আক্ষেপ যেন আরও প্রবল হয়ে উঠেছে। এবার সরাসরি হতাশা প্রকাশ করলেন ক্লাবটির সাবেক কোচ রন এটকিনসন।

দীর্ঘদিন ধরেই আক্রমণভাগে বিশ্বমানের স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগছে ইউনাইটেড। গত মৌসুমে রাসমুস হইলুন্ড বা জোশুয়া জির্কজের মতো ফরোয়ার্ডদের টানলেও তেমন ছাপ ফেলতে পারেননি মাঠে। ফলে সমস্যা রয়েই গেছে। অথচ কেইনের মতো পরীক্ষিত একজন খেলোয়াড়কে পাওয়ার সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছে ক্লাবটি।

এই প্রেক্ষাপটে এটকিনস মনে করে, ইউনাইটেড যদি সময়মতো হ্যারি কেনকে দলে আনত, তাহলে বহু সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লাবটির সাবেক ম্যানেজার বললেন, 'আমি যদি ক্লাব চালাতাম? আমি ভালো একজন স্ট্রাইকার এনে অনেক সমস্যার সমাধান করতাম। ওরা এত সমস্যা ঢাকতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে। আমি হ্যারি কেনকে আনতাম।'

'জানি, (স্পার্স চেয়ারম্যান) ড্যানিয়েল লেভি ওর জন্য ১০০ মিলিয়ন চাচ্ছিলেন। ঠিক আছে, তাহলে ১২০ মিলিয়ন দিয়ে আনো। ও সামনে থাকলে মিডফিল্ড জানত কাকে পাস দিতে হবে, ডিফেন্সও ভালো খেলত। গোলস্কোরার থাকলে সব কিছুই ভালো লাগে,' যোগ করেন তিনি।

টটেনহ্যাম হটস্পার থাকাকালীন সময়ে কেইনকে ঘিরে বহুবার আগ্রহ দেখিয়েছে ইউনাইটেড। কিন্তু আলোচনার টেবিলে বসেও কাঙ্ক্ষিত ফল মেলেনি। শেষপর্যন্ত ২০২৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন কেন। সেখানে গিয়ে দীর্ঘদিনের ট্রফিশূন্যতা ঘোচানোর পাশাপাশি বুন্ডেসলিগা জয় করে প্রমাণ করে দিয়েছেন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব।

অন্যদিকে ইউনাইটেড এখনও গোলখরা সমস্যায় জর্জরিত। হইলুন্ড ও জির্কজে মিলিয়ে ধারাবাহিকতা নেই, ফলে আবারও নতুন ফরোয়ার্ড খোঁজার কাজ শুরু করেছে তারা। এবার লক্ষ্য লাইপজিগের স্লোভেনিয়ান তরুণ স্ট্রাইকার বেঞ্জামিন সেসকো। এর আগেই হাতছাড়া হয়েছে লিয়াম ডেলাপ, ভিক্টর গিয়োকেরেস ও হুগো একিতিকে।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

9h ago