হলে সিট কিংবা আবাসন ভাতার দাবিতে চবি প্রশাসনিক ভবনে তালা

চবি প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা এবং বিকল্প হিসেবে আবাসন ভাতার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

বিকেল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত সেখানে তালা দেওয়া ছিল। এসময় প্রশাসনিক ভবনে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দীন খান ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা 'আবাসন ভাতা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে', 'চবির অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'আবাসন আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার', 'হলের নামে বৈষম্য মানি না, মানব না' ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তারা সিট সংকট ও আবাসন সমস্যায় ভুগছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন তাদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

তাদের দাবি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে হলে আবাসনের সুযোগ বা সমপরিমাণ ভাতা দিতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের তালা খোলা হবে না বলেও জানান তারা।

বিক্ষোভরত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। এই আবাসন সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে ফিরব না।'

ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী আসমানি বিনতে তাজবী বলেন, 'সুপারিশসহ কয়েকবার হলে আবেদন করেছি, অনেকেই করেছে, কিন্তু কোনো ফল আসেনি। আসন বরাদ্দে ব্যাপক দুর্নীতি আছে। আমার পরিচিত অনেকে একা পুরো রুমে থাকে, আবার রাজনৈতিক প্রভাবেও সিট পাচ্ছে অনেকে। স্বচ্ছতার কথা থাকলেও এক বছর পরও তা বাস্তবায়ন হয়নি।'

এ বিষয়ে জানতে চবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীরা বলছে আমরা দাবি পূরণ করিনি। কিন্তু এমনটি কখনো হয়নি। তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে কোনো আল্টিমেটাম না দিয়েই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

6h ago