মোবাইল চোরাকারবারির সঙ্গে আঁতাত: ঝিকরগাছা থানার ২ এসআই বরখাস্ত

মোবাইল ফোন চোরাকারবারিদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছা থানার দুই উপপরিদর্শককে (এসআই) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রাতে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা হলেন ঝিকরগাছা থানার এসআই রাজু আহমেদ ও এসআই ওয়ালিদ হোসেন।
পুলিশ জানায়, এর আগেও এসআই রাজু ও ওয়ালিদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। সাদা পোশাকে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় চোরাকারবারিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ পুরাতন বাজারের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারি সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে জব্দ করা চোরাই মোবাইল ফোন অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ছিলেন এই দুই কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট পুলিশ নাভারণ পুরাতন বাজারে সাইফুলের দোকানে অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা ৫৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। কিন্তু অভিযানের একপর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা লেন্টু হাজির মধ্যস্থতায় পুলিশ জব্দ করা ফোনগুলো সাইফুলকে ফিরিয়ে দেয়।
পরে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাই ঘটনাটি অস্বীকার করেন।
বিষয়টি পুলিশ সুপারের নজরে এলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের 'সি' সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল নাভারণ পুরাতন বাজারে সাইফুলের মোবাইলের দোকানে পুনরায় অভিযান চালায়। এ সময় সাইফুলকে আটক করা হয় এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ি থেকে আরও ৪৪টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সাইফুল চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এসআই রাজু আহমেদ বলেন যে তিনি আদালতের কাজে ঢাকায় আছেন এবং বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জব্দ করা ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এসআই রাজু ও এসআই ওয়ালিদকে সাময়িক বরখাস্ত করে যশোর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
Comments