টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার তালিকায় শীর্ষ পাঁচে সাকিব

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এবারের আসরের আগের চার ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই দুর্দশা কাটিয়ে পঞ্চম ম্যাচে এসে ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্সের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় অনুমিতভাবেই তার হাতে উঠল ম্যাচসেরার পুরস্কার। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৪৪তম বারের মতো এমন অর্জনের স্বাদ নিলেন তিনি।
নর্থ সাউন্ডে গতকাল রোববার ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে ফ্যালকন্স। টস হেরে আগে ব্যাট করে পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। জবাবে ২ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে ১৩৭ রান করে জয় নিশ্চিত করেন সাকিবরা।
সপ্তম বোলার হিসেবে ইনিংসের ১৫তম ওভারে আক্রমণে যান ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার। বাঁহাতি স্পিনে ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি মাত্র ১১ রান খরচায় শিকার করেন ৩ উইকেট। নিজের প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরতি ক্যাচ বানান। আর পরের ওভারে কাইল মেয়ার্স ও নাভিন বিদাইসির উইকেট তুলে নেন সাকিব। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। চারে নেমে খেলেন ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। ১৮ বল মোকাবিলায় দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার তালিকায় শীর্ষ পাঁচে ঢুকে গেছেন সাকিব। তার মতো ৪৪ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। তবে রাসেলের যেখানে লেগেছে ৫৬৪ ম্যাচ, সেখানে সাকিব খেলেছেন ৪৫৭ ম্যাচ। এই তালিকায় দুই থেকে চারে থাকা তিনজন অবশ্য আছেন সাকিবের হাতের নাগালে।
ইংল্যান্ডের ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস ৫০৬ ম্যাচে ৪৫ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড ৪৭ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ৭১০ ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৮ বার ম্যাচসেরার সম্মাননা পেয়েছেন ৪৮৬ ম্যাচে।
সাকিব, রাসেল, হেলস, পোলার্ড ও ম্যাক্সওয়েল— এদের সবাই খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কেবল ম্যাক্সওয়েলই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টিকে আছেন। বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিব সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের মঞ্চে, জুন মাসে কিংসটাউনে সুপার এইটের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
ম্যাচসেরার তালিকায় চূড়ায় আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা ব্যাটার ক্রিস গেইল। তিনি ৪৬৩ ম্যাচে ৬০ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন। ২০২২ সালের পর স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টিতে আর দেখা যায়নি 'টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা' খ্যাত তারকাকে।
উল্লেখ্য, প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ম্যাচে অনন্য কীর্তির মালিক হয়েছেন সাকিব। ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৭০০০ রান ও ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৪৫৭ ম্যাচে ২১.০৩ গড়ে ৭৫৭৪ রান করার পাশাপাশি ২১.৪৩ গড়ে ৫০২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
Comments