গ্রুপ ‘বি’তে ফেভারিট স্পেন ও পর্তুগাল
আর মাত্র ৯ দিন পর রাশিয়ায় শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এরমধ্যেই ফুটবল উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে ভক্তদের মধ্যে। পছন্দের দলগুলো গ্রুপ পর্বে কেমন করবে কিংবা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো কেমন করবে এ নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। ৩২ দল খেলবে ৮ গ্রুপে ভাগ হয়ে । গ্রুপ ‘বি’ তে ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সঙ্গে আছে পর্তুগাল, মরক্কো ও ইরান। দেখে নেওয়া যাক ‘বি’ গ্রুপের হিসেব নিকেস।
এ গ্রুপে পরিষ্কারভাবেই এগিয়ে আছে স্পেন। ঐতিহ্য ও শক্তি দু’টিই তাদের হয়ে কথা বলছে। তবে কম যায় না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালও। বর্তমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নও তারা। বড় কোন অঘটন না ঘটলে ‘বি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডেই ওঠার কথা দলদু’টির। ১৫ জুন মরক্কো ও ইরানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এ গ্রুপের খেলা।
স্পেন
২০১০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন এক রাশ বিস্ময় উপহার দিয়ে গত আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিলো। তবে চলতি আসরে দুর্দান্ত খেলছে দলটি। কদিন আগেই দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয়। বাছাই পর্বে সবগুলো ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। মাত্রই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপায় চুমু দিয়ে এসেছেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস। দাভিদ দি গিয়া, দাভিদ সিলভা, জেরার্দ পিকে, ইসকোর মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুণ শক্তিশালী দলটি। তবে এবারও দলের দলের প্রাণ ভোমরা সদ্য বার্সেলোনা ত্যাগ করা আন্দ্রে ইনিয়েস্তা।
কোচ : জুলে লোপেতেগি।
ফিফা র্যাংকিং : ৮।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ : ১৪ বার।
সেরা সাফল্য : চ্যাম্পিয়ন ২০১৪।
পর্তুগাল
বিশ্বকাপের ফেভারিট তালিকায় নেই পর্তুগাল। কিন্তু তাতে কি যে কোন সময় কে কোন কিছু করে ফেলতে পারে দলটি। গত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপই তার উদাহরণ। সাদামাটা দল নিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছিলো তারাই। দলের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একাই জিতেছেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। তার সঙ্গে বার্নারদো সিলভা, উইলিয়াম কারবালহোরা জ্বলে উঠতে পারলে বিশ্বকাপ জয় অসম্ভব নয় পর্তুগিজদের জন্য।
কোচ : ফের্নানদো সান্তোস।
ফিফা র্যাংকিং : ৪।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ : ৬।
সেরা সাফল্য : তৃতীয় স্থান ১৯৬৬।
মরক্কো
আইভরি কোস্টের মতো দলকে বিদায় করে বিশ্বকাপের টিকেট কেটেছে মরক্কো। শেষ বার ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলো দলটি। এএফসি আয়াক্সের ২৫ বছর বয়সী হাকিম জুইয়াস জ্বলে উঠতে পারলে দারুণ কিছু করে ফেলতেও পারে দলটি। এছাড়া জুভেন্টাসের ডিফেন্ডার মেহেদি বেনাতিয়াও দলের অন্যতম ভরসা।
কোচ : হের্ভে রেনার্দ।
ফিফা র্যাংকিং : ৪২।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ : ৪।
সেরা সাফল্য : শেষ ১৬, ১৯৮৬।
ইরান
স্বাগতিক রাশিয়া ও পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের পর ইরানই সবার আগে এবারের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিলো। আগের চার আসরেই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যায় দলটি। তবে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ কার্লোস কুইরোজের অধীনে নতুন কিছুর স্বপ্ন দেখছে তারা। দলটি এবার তাকিয়ে থাকবে রুবেন কাজানের স্ট্রাইকার ‘ইরানিয়ান মেসি’ খ্যাত সরদার আজমোনের দিকে।
কোচ : কার্লোস কুইরোজ।
ফিফা র্যাংকিং : ৩৬।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ : ৪।
সেরা সাফল্য : গ্রুপ পর্ব ১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০১৪।
গ্রুপ প্রেডিকশন : দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে – স্পেন ও পর্তুগাল।
Comments