মেসি-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেখানে সেরা নেইমার

লিওনেল মেসি না ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, শ্রেষ্ঠত্বের তর্ক এই দুজনকে নিয়েই। তাদের পেছনে থেকে গত কবছর তৃতীয় সেরা হয়ে আছেন নেইমার। তবে একটা জায়গায় মেসি রোনালদোর চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে নেইমার। তারা যা করে দেখাতে পারেননি, নেইমার তাই পেরেছেন।
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে নেইমারের গোল উদযাপন
নেইমার আছেন দারুণ ছন্দে। ছবিঃ রয়টার্স

লিওনেল মেসি না ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, শ্রেষ্ঠত্বের তর্ক এই দুজনকে নিয়েই। তাদের পেছনে থেকে গত কবছর তৃতীয় সেরা হয়ে আছেন নেইমার। তবে একটা জায়গায় মেসি রোনালদোর চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে নেইমার। তারা যা করে দেখাতে পারেননি, নেইমার তাই পেরেছেন।

ক্লাব ফুটবলে মেসি-রোনালদো দুজনেই রাজা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হিসেবে নেইমারও সেখানে বড় নাম। তবে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স হিসেবে নিলে নেইমারের ধারে কাছে নেই বাকি দুজন।

এখন পর্যন্ত চার বিশ্বকাপ খেলেছেন মেসি ও রোনালদো। এই নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলছেন নেইমার। দুই বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ৬ গোল নেইমারের।  এই ৬ গোল পেতে গোলপোস্টে ৩৮টি শট করতে হয়েছে ব্রাজিলের পোস্টার বয়কে। খেলতে হয়েছে মাত্র ৯ ম্যাচ।

মেসি চার বিশ্বকাপে গোল করেছেন ৬টি, তার জন্য গোলে শট মারতে হয়েছে ৬৭টি। তিনি ম্যাচ খেলেছেন ১৯টি। রোনালদোর গোল একটি বেশি। তাকে শট করতে হয়েছে ৭৪টি। তার ম্যাচ সংখ্যা ১৭টি।

বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে মেসি-রোনালদো কারোরই গোল নেই। মেক্সিকোর বিপক্ষে গোল করে নকআউটে গোলের খাতায় নাম উঠিয়েছেন নেইমার।

এই শেষ নয়। আরও আছে। বলা হচ্ছে এবার বিশ্বকাপে নেইমার পুরো ছন্দে নেই। পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা, গোলের জন্য এবার সবচেয়ে বেশি ২৩ শট নেইমারেরই, যার ১২টি ছিল অন টার্গেট।

শুধু  নিজের গোল করাতেই নয়। গোলের সুযোগ তৈরি করাতেও এগিয়ে নেইমারই।  বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১৬টি গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।

প্রতি ম্যাচে নেইমারের হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাওয়া নিয়েই বিস্তর সমালোচনা আছে। তার এমন পড়ে যাওয়াকে ‘ভনিতা’ বলে হচ্ছে ট্রল। তবে বাস্তবে সবচেয়ে বেশি ২৩ বার সত্যিকার ফাউলের শিকার হয়েছেন তিনি। এরমধ্যে এক ম্যাচেই সর্বোচ্চ ১০ বার ফাউল করা হয় তাকে।

খেলায় সৃষ্টিশীলতার মাপকাঠির হিসেব ধরা হয় কে কতটা সফল ড্রিবলিং করলেন তার উপর। সেখানেও এগিয়ে ব্রাজিলের সেরা তারকা। ৩৫টি সফল ড্রিবলিং সম্পন্ন করেছেন তিনি।

তবে সব কিছুর পরও নেইমার ব্রাজিলকে শিরোপা পাইয়ে দিতে পারেন কিনা এটাই এখন দেখার বিষয়।

Comments