লুলা দা সিলভা: কারখানা শ্রমিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি

লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ছবি: রয়টার্স

ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লুলা দা সিলভা বিজয়ী হলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বলসোনারো তাৎক্ষনিক ফলাফল মেনে কোনো বিবৃতি প্রদান না করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও আশঙ্কার সৃষ্টি হয়।

ব্রাজিলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী, পরাজিত প্রার্থী তাৎক্ষনিক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে তার বক্তব্য প্রকাশ করেন এবং বিজয়ীকে অভিনন্দন জানান। কিন্তু রক্ষণশীল বলসোনারোর সেটা করেননি। বরং এ সময় তার সমর্থকরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ব্রাজিলের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বিক্ষোভ বন্ধের এবং কর্তৃপক্ষকে সংবিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেন। এমন পরিস্থিতিতে বলসোনারো এক অতি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে তার পরাজয় মেনে নেওয়ার কথা বলেন, কিন্তু সেখানে লুলাকে অভিনন্দন জানানো, তাকে সহযোগিতা করার বিষয়ে কিছু বলেননি। এমনকি তার নামও উচ্চারণ করেননি।

এর মাধ্যমে একটা বিষয় পরিষ্কার যে লুলার ক্ষমতা গ্রহণ ও শাসনকাল সহজ হবে না। প্রতিপক্ষ তার পদে পদে কাটা বিছিয়ে রাখবে। আর লুলাকে সেই চ্যালেঞ্জ ও বাধা দূর করেই এগিয়ে যেতে হবে।

লুলাও স্বীকার করেছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ব্রাজিলের মানুষ ডান ও বাম ২ শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে। তিনি বলেছেন, তার অন্যতম প্রধান কাজ হবে যতটা সম্ভব এই বিভক্তি দূর করে উন্নয়নের পরিবেশ তৈরি করা।

কর্তৃপক্ষ এবারের নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গত নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, বর্তমান রাষ্ট্রপতি বলসেনারো নির্বাচনে পরাজিত হলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। অতীতে তিনি এমন অভিযোগ করেছেন বলেই এই ব্যবস্থা। যে কারণে বিজয়ী লুলার প্রতি তার এমন আচরণ সংশ্লিষ্টদের অপ্রত্যাশিত ছিল না।

লুলা দা সিলভার রাজনৈতিক জীবন বড়ই বিস্ময়কর। তার পুরো নাম লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা-বাবা ছিলেন নিরক্ষর। ভাগ্যান্বেষণে তারা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে সাও পাওলোর শিল্পায়নে চলে আসেন। ১০ বছর বয়সে পড়তে শিখেছিলেন, ১৪ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছিলেন লুলা।

একজন দক্ষ কর্মী লুলা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সামরিক একনায়কতন্ত্রের অবসানে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। একটি শক্তিশালী ও বৃহত্তর ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তিনি।

১৯৮০ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন লুলা। দলটি ২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসে এবং ১২ বছর ক্ষমতাসীন থাকে। দেশ-বিদেশের নানা ষড়যন্ত্র-বিপদ মোকাবিলা করে ৭৭ বছর বয়সে তৃতীয়বারের মতো পুনরায় ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন এই মানুষটি। ব্রাজিলের রাজনীতিতে রাজপ্রাসাদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে একজন শ্রমিক ও শ্রমিক নেতা প্রবেশ করবে, একসময় তা ছিল অকল্পনীয়। সেই অসম্ভবকেই তিনি সম্ভব করেছেন।

লাতিন আমেরিকার ইতিহাস বার বার রক্তাক্ত হয়েছে। সেখানে যখনই কোনো গণমানুষের পক্ষের নেতা ক্ষমতায় এসেছেন, মার্কিনীরা হয় সেনা অভ্যুত্থান, না হয় তথাকথিত বিচারিক প্রক্রিয়ায় শাসকের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর তাকে বৈধতা দিতে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মানবাধিকার রক্ষার কথা বলেছে।

বর্তমানে একই কাজ করতে ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়ায় কত পথ-ফন্দিই না করেছে তারা। কিন্তু শেষ অবধি কার্যসিদ্ধি হয়নি। মার্কিনের সেই অপকর্ম থেকে ব্রাজিলও বাদ যায়নি। অতীতের চিলিসহ অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও এমন উদাহরণ সর্বজনীন।

ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ দেশ, বিশ্ব মানচিত্রে যাদের অবস্থান ষষ্ঠ। লুলার দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি যখন ব্রাজিলের গরিব মানুষের জীবন বদলে দিতে শুরু করে, তখনই পশ্চিমা শক্তি তার পথও কণ্টকাকীর্ণ করে তোলে।

ব্রাজিলের পরিবারগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে লুলা 'ফমি-জিরো' নামে যে প্রোগ্রাম চালু করেন, সেটাও ভালো ফল দেয়। ফমি-জিরো মানে, ক্ষুধার্ত থাকার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা। লুলা সবসময় বলেন, ব্রাজিলের সবাই দিনে ৩ বেলা খেতে পাচ্ছে, এটা দেখতে পেলেই তিনি সন্তুষ্ট। ব্রাজিলের নিম্ন আয়ের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের জন্য অভূতপূর্ব কাজ করেন তিনি।

এ ছাড়া লুলা পারিবারিক ভর্তুকিসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা চালু করেন। এর ফলে ব্রাজিলের দরিদ্র জনসংখ্যা অর্ধেক কমে যায়। তিনি নিম্ন আয়ের প্রত্যেক পরিবারের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেন। ৩৫ ডলারের নিচে যাদের মাসিক আয়, সেসব পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে ৭০ ডলার করে ভাতা প্রদান করেন। সেই ছেলে-মেয়েরা যেন অপরাধমুক্ত থাকে, সে ব্যবস্থাও করা হয়। এই সামাজিক উদ্যোগে ব্রাজিলের সমাজ অনেকাংশে অপরাধমুক্ত হয়। শ্রমজীবী মানুষের সর্বনিম্ন মজুরি ১০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়।

তিনি তার প্রথম মেয়াদে 'বোলসা ফ্যামিলিয়া পোভার্টি–রিলিফ প্রোগ্রাম' নামে একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন। এর আওতায় দরিদ্র পরিবারগুলো মাসে ১১০ ডলার করে সরকারি সহায়তা পেত। এ ছাড়া, পরিবারে ৬ বছরের কম বয়সী শিশু থাকলে অতিরিক্ত ৩০ ডলার দেওয়া হতো প্রতি মাসে। তার শাসনামলে অভূতপূর্ব সংস্কারের মাধ্যমে দেশের কয়েক কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছেন।

নারী-পুরুষের মজুরি সমতা, চিকিৎসা-স্বাস্থ্যখাত, ডে–কেয়ার ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতির কথা পুর্নব্যক্ত করেছেন লুলা। তার এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিপক্ষের সন্দেহ ও সমালোচনা থাকলেও সাধারণ মানুষ তার কথায় আস্থা রাখছেন।

সামগ্রিকভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনতে লুলা বরাদ্দ করেছিলেন তাদের জাতীয় আয়ের মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ। তার সময়ে ব্রাজিলের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা তৈরির মাধ্যমে দেশটিকে আবারও বিশ্ব অর্থনীতির প্রথম ১০ এর মধ্যে নিয়ে এসেছেন।

তাৎক্ষনিক বিজয়ী ভাষণেও বলেছেন, ব্রাজিলের গরীব মানুষের ভাগ্য ফেরানোই তার প্রধান লক্ষ্য হবে। তিনি বলেন, 'দেশের মানুষের পর্যাপ্ত খাবার নেই, এটা কোনো সাধারণ বিষয় হতে পারে না। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম খাদ্য উৎপাদনকারী ও বৃহৎ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ব্রাজিলের প্রত্যেক মানুষের ৩ বেলা পেটপুরে খাবারের নিশ্চয়তা তৈরি করা আমাদের প্রধান কর্তব্য।'

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য লুলার ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার জনপ্রিয়তা আরও ঊর্ধ্বমুখী করে। কতটা ঊর্ধ্বমুখী করেছিল সেটা বোঝা যায় তিনি যখন ২০১১ সালে অফিস ত্যাগ করেন। তখন তার জনপ্রিয়তা ছিল ৯০ শতাংশের উপরে। এ কারণেই লুলাকে বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও শাসক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

মার্কিন আধিপত্য ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে লুলা সোচ্চার ছিলেন নিজের রাজনীতির শুরু থেকেই। মার্কিনীরাও চুপ করে বসে থাকেনি। তাকে ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে কঠিন ছকে বেঁধে ফেলতে চেয়েছেন।

লুলাকে রাজনীতি থেকে উৎখাত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ব্রাজিলের প্রাকৃতিক সম্পদ নিজেদের কব্জায় নিয়ে লুলার বিপ্লবাত্মক জনমুখী কর্মসূচিগুলো থামিয়ে দেওয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তা করতে পারেনি। তিনি রাজনীতির মধ্যে মঞ্চে ফের ফিরে এসেছেন।

ভোটের রাজনীতিতে লুলাকে হারিয়ে তার অনুগত শাসককে দিয়ে দেশ চালাবেন, কিন্তু সে কাজ হবে বড়ই কঠিন। তা বুঝতে পেরেই আইন-আদালতের মারপ্যাঁচে লুলাকে আমৃত্যু জেলে রেখে, হত্যার বন্দোবস্ত করে পশ্চিমা শক্তি। কিন্তু এর মধ্যেই 'অপারেশন কারওয়াশ' নামে সেই ঘৃণ্য নীল নকশা প্রকাশ হয়ে যায়। প্রমাণ হয়ে যায়, সেটা ছিল মিথ্যা ও সাজানো নাটক। অথচ, এর কারণেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

রক্ষণশীল মার্কিনপন্থী শাসক বলসোনারোর আমলে ৩ কোটির বেশি ব্রাজিলবাসী চরম খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে পড়েছেন। দরিদ্র হয়েছেন অন্তত ১০ কোটি মানুষ। এ জন্য করোনাকে দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো সবই বর্তমান শাসকের গরীব বিরোধী নীতির ফল। বিশেষত আমাজন বন উজাড়ে তার নীতি বিশ্বজুড়ে নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছে।

অন্যদিকে লুলা আবারও অঙ্গীকার করেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে দেশে খাদ্য সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন, লাতিন আমেরিকা আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করবেন, ব্রিক্স দেশের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবেন এবং বিশ্ব পরিচালনার নতুন কাঠামো গঠনের চেষ্টা করবেন।

জন ডি. ফ্রেঞ্চ ব্রাজিলের অন্যতম প্রধান ইতিহাসবিদ। 'লুলা অ্যান্ড হিজ পলিটিকস অব কানিং: ফ্রম মেটাল ওয়ার্কার টু প্রেসিডেন্ট অব ব্রাজিল' শিরোনামে লুলার জীবনী প্রকাশ করেন। লুলাকে ঘিরে জীবন ও রাজনীতির সেই আলাপকে তার প্রতিপক্ষ ও সমালোচকরাও দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। তাকে একজন বিশ্ব নন্দিত আকর্ষণীয় ক্যারিশম্যাটিক রাজনৈতিক নেতা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যাকে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ফ্রেন্স সাও পাওলোকে শিল্পাঞ্চলে একজন দরিদ্র গ্রামীণ অভিবাসী লুলার সূচনাকে বর্ণনা করেন এভাবে, একজন দক্ষ শ্রমিক থেকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, একজন বুদ্ধিমান আলোচক থেকে শক্তিশালী বক্তা এবং প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে তার রূপান্তর ঘটান।

লুলা একজন সত্যিকারের স্ব-নির্মিত মানুষ, সমন্বিত ও কঠোর পরিশ্রমী, অধ্যয়নশীল ও স্বজ্ঞাত। তিনি একজন অগ্রসর রাজনীতিবিদ, ব্রাজিলীয়দের অধিকার রক্ষার এক নির্ভীক ব্যক্তিত্ব ও নির্ভরযোগ্য কণ্ঠস্বর। লুলা প্রথাগত মার্কসবাদী চিন্তাধারা থেকে বেড়িয়ে দেশের বাস্তবতায় এর প্রয়োগ ঘটাতে চান। তিনি পুঁজিবাদকে আরও জনবান্ধব ও সমতাভিত্তিক করতে চান।

লুলাসহ অনেক দেশপ্রেমিক শাসকই খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়ে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের নীতিকে অনুসরণ না করে নিজেদের কর্মসূচিকে সামনে এগিয়ে নিয়েছেন। বহুজাতিক ও বিশ্বসংস্থার নীতিমালায় এসব অঞ্চলে দারিদ্র বিমোচন তো দূরের কথা, বরং মুক্ত বাণিজ্যের নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রাকৃতিক সম্পদে পশ্চিমা স্বার্থ কীভাবে নিশ্চিত হয় আর মানুষকে একটি নির্দিষ্ট চক্রে বেঁধে ফেলা যায় তার ব্যবস্থা করেছে। লাতিন আমেরিকার যে মাটিতে কাস্ত্রো, আয়েন্দে, শাভেজ, লুলা আর দিলিমাদের জন্ম দিয়েছে, সেই মাটিতে সাম্রাজ্যবাদ খুব সুবিধা করবে, তা হয় না।

সালভাদর আয়েন্দের পথ ধরেই ২০০০ সালের শুরুর দিকে লাতিন আমেরিকা গরীব মেহনতি মানুষের বন্ধুদের নির্বাচিত করা শুরু হয়। এই আন্দোলন পিংক টাইড হিসেবে পরিচিত। এই সামাজিক ও মার্কিনবিরোধী আন্দোলন ১৯৯৯ সালে হুগো শাভেজ, ২০০৩ সালে লুলা, ২০০৬ সালে ইভো মোরালেস, ২০১৩ সালে ইকুয়েডরের রাফায়েল কোরেয়া, ২০২১ চিলিতে বোরিক, একই সময়ে পেরুতে কাস্তিলো ও ২০২২ সালে কলম্বিয়ায় গুস্তাভো পেট্রোকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। ভূখণ্ড ভিন্ন হলেও নির্বাচিত এই মানুষদের সবাই গণমানুষের নেতা, পুঁজিবাদ ও মার্কিন শোষণের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার।

ব্রাজিলের রাজনীতিতে পুনরায় লুলার প্রত্যাবর্তনের প্রভাব শুধুই লাতিন আমেরিকার রাজনীতিতে আটকে থাকবে না। এটা নিঃশ্বাস ছাড়বে এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার দেশে দেশে। তৈরি হবে বর্তমান অশান্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তথাকথিত এককেন্দ্রিক বিশ্বের বিকল্প কোন পথরেখা।

ড. মঞ্জুরে খোদা, লেখক-গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago