মেসি থাকলে আরও ২-৩ গোল করতে পারতাম: আলভারেজ

ছবি: এএফপি

বিধ্বস্ত হওয়ার ম্যাচে একে একে চারবার বল ঢুকেছে ব্রাজিলের জালে। রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য যা ছিল নিঃসন্দেহে যন্ত্রণাদায়ক। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয়ের পরও মন ভরেনি হুলিয়ান আলভারেজের। আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার মনে করেন, ব্যবধান হতে পারত আরও বড়। কীভাবে? যদি মাঠে থাকতেন মহাতারকা লিওনেল মেসি।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই মাসের দুটি ম্যাচে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে ছাড়াই খেলেছে আর্জেন্টিনা। চোটের কারণে মেসি ছিলেন মাঠের বাইরে। ডান পায়ের অ্যাডাক্টর (ঊরুর) পেশির অস্বস্তিতে ভুগছেন ৩৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার অনুপস্থিতি হয়নি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মাথাব্যথার কারণ। উরুগুয়ের মাঠ থেকে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরার পর ব্রাজিলকে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা।

গতকাল বুধবার বুয়েন্স এইরেসে স্বাগতিকদের গোল উৎসবের সূচনা করেন আলভারেজ। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ তারকার পর জাল খুঁজে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। মাথেয়াস কুনিয়া ব্যবধান কমিয়ে ব্রাজিলকে ফেরার আশা দিয়েছিলেন। তবে তা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্তার প্রথমার্ধেই আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের স্মরণীয় জয় নিশ্চিত করেন জুলিয়ানো সিমিওনে।

চোটের কারণে এই দুটি ম্যাচে আর্জেন্টিনা পায়নি লাউতারো মার্তিনেজ আর পাওলো দিবালাকেও। তবে মেসি না থাকায় দলটি কেমন করবে তা নিয়েই ছিল মূল আলোচনা। সেই প্রশ্নের সম্ভাব্য সেরা জবাব দেওয়ার পরও ফিরে আসে মেসির নাম। তিনি থাকলে আরও কী কী করতে পারত আলবিসেলেস্তেরা? ম্যাচের পর আলভারেজ দেন স্পষ্ট উত্তর, 'মেসি থাকলে আমরা হয়তো আরও দুই-তিনটি গোল করতে পারতাম।'

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাওয়ার সুখবর নিয়ে খেলতে নামা আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে নিয়ে করে স্রেফ ছেলেখেলা। আলভারেজের ক্লাব সতীর্থ রদ্রিগো দি পলের কণ্ঠেও শোনা যায় একই সুর, 'সব সময় আমাদের দলের সেরাটা তখনই পাওয়া যায়, যখন ১০ নম্বর (মেসি) খেলে। কারণ, সে সর্বকালের সেরা (ফুটবলার)।'

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চোটের সঙ্গে বেশ লড়াই চলছে মেসির। গত বছরের সেপ্টম্বরেও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম‍্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। একটিতে নিজেদের মাটিতে চিলির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। অন‍্যটিতে কলম্বিয়ার মাঠে তারা হেরে গিয়েছিল ২-১ গোলে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago