পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ঢাকায় আরও একজনের মৃত্যু, নিজেদের নেতা দাবি যুবদলের

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শামীম মিয়া রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা। যুবদলের দাবি, শামীম মিয়া তাদের সংগঠনের নেতা।
কাকরাইল পুলিশ বক্সে আগুন। ছবি: আনিসুর রহমান

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শামীম মিয়া রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা। যুবদলের দাবি, শামীম মিয়া তাদের সংগঠনের নেতা।

মুগদা থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জুয়েল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিহত শামীম মিয়া তদের সংগঠনের নেতা।

আজ বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের পরিচালক পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. রেজাউল হায়দার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

রেজাউল হায়দার বলেন, বিকেলে পুলিশ হাসপাতালের সামনে যখন পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হচ্ছিল, সে সময় ওই ব্যক্তি হাসপাতালের সামনের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, নিহত কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম শাখায় ছিলেন। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুরে।

ফকিরাপুল থেকে পুলিশ সদস্য এবং পথচারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার মাথায় আঘাত লেগেছিল। বিকেল সোয়া ৪টায় তাকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।

 

Comments