গোল্ডেন ডাকের হ্যাটট্রিক, বিব্রতকর রেকর্ড সুরিয়াকুমারের
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটার সুরিয়াকুমার যাদব ওয়ানডেতে নিজেকে মেলে ধরতে ভুগছেন। ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছে তার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে টানা তিন ম্যাচে তিনি প্রথম বলেই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন। সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে এই বিব্রতকর রেকর্ড নেই ভারতের আর কোনো খেলোয়াড়ের।
বুধবার চেন্নাইতে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ নিয়েছেন সুরিয়াকুমার। স্কাই নামে খ্যাত এই আগ্রাসী ডানহাতি ব্যাটার আগের দুই ওয়ানডেতেও একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। অর্থাৎ গোটা সিরিজে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।
মুম্বাই ও বিশাখাপত্তনমে অনুষ্ঠিত প্রথম দুই ম্যাচে সুরিয়াকুমারের হন্তারক ছিলেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। দুবারই চার নম্বরে নেমে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েছিলেন তিনি। ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে তাকে এদিন ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। কিন্তু সাতে নেমেও সুবিধা করতে পারেননি ৩২ বছর বয়সী সুরিয়াকুমার। ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে বিরাট কোহলিকে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ বানানোর পরের বলেই তাকে বোল্ড করে দেন বাহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার।
ওয়ানডেতে টানা তিনবার গোল্ডেন ডাকের স্বাদ নেওয়া ভারতের প্রথম ও সব মিলিয়ে ১৪তম ক্রিকেটার সুরিয়াকুমার। এই তালিকায় আছে ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ও শেন ওয়াটসনের মতো খ্যাতনামা ক্রিকেটারের নাম। তবে তারা পাঁচ বা সাত ম্যাচের সিরিজে গোল্ডেন ডাকের হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
কেবল ডাকের বা শূন্য রানে আউট হওয়ার (বলের সংখ্যা যতই হোক না কেন) হ্যাটট্রিকের পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে সুরিয়াকুমার একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটার নন। তার আগে আরও পাঁচজন পেয়েছেন এমন দুঃসহ অভিজ্ঞতা। সর্বপ্রথম নামটি অবশ্য চমক জাগাতে বাধ্য। কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকার ১৯৯৪ সালে টানা তিন ম্যাচে ডাকের স্বাদ পেয়েছিলেন। এই তালিকার বাকিরা হলেন অনিল কুম্বলে, জহির খান, ইশান্ত শর্মা ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
ওয়ানডেতে টানা চার ম্যাচে গোল্ডেন ডাক পাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড যৌথভাবে পাঁচ ক্রিকেটারের দখলে। এই তালিকায় থাকারা হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গাস লোগি, জিম্বাবুয়ের হেনরি ওলোঙ্গা, ইংল্যান্ডের ক্রেইগ হোয়াইট এবং শ্রীলঙ্কার প্রমোদিয়া বিক্রমাসিংহে ও লাসিথ মালিঙ্গা।
Comments