সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লারা-টেন্ডুলকারের নামে গেইট

Sachin Tendulkar and Brian Lara
ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

নিজেদের সেরা সময়ে শচিন টেন্ডুলকার নাকি ব্রায়ান লারা, কে সেরা এই নিয়ে ভক্তদের মধ্যে চলত তর্ক। নিজেদের সহজাত মুন্সিয়ানায় দুজনেই ছিলেন সেরা। গড়েছেন অবিশ্বাস্য সব কীর্তি।  কিংবদন্তি এই দুই ব্যাটারকে একসঙ্গে সম্মান জানাল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি)। লারা ও টেন্ডুলকারের নামে স্টেডিয়ামের একটি প্রবেশপথের নাম দিয়েছে তারা।

সোমবার বিখ্যাত এসসিজিতে উন্মোচন করা হয় লারা-টেন্ডুলকার গেইট। এর আগে এই সম্মান পেয়েছিলেন ডন ব্র্যাডম্যান, অ্যালান ড্যাভিডসন, আর্থার মরিসরা।

২৪ এপ্রিল এমন এক দিনে গেইটটি উন্মোচন করা হয় যেদিন ভারতীয় কিংবদন্তি শচিনের ৫০তম জন্মদিন। এই বছরই আবার  সিডনিতে লারার খেলা অবিস্মরণীয় ২৭৭ রানের ইনিংসের ৩০ বছর পূর্তি। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে এমন ইনিংস খেলেছিলেন লারা। টেস্টে সর্বকালের ইতিহাসেরই সেরা কয়েকটি ইনিংসের মধ্যে ঠাঁই পায় লারার ইনিংস।

গেইট উন্মোচন করেন এসসিজি ও নিউ সাউথ ওয়েলসের ভেন্যু চেয়ারম্যান রড ম্যাকগিইচ, প্রধান নির্বাহী কেরে মাথের ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি।  মাথের পরে দেন প্রতিক্রিয়া, 'এসসিজিতে শচিন টেন্ডুলকারের পরিসংখ্যান অবিস্মরণীয়। ব্রায়ান লারার সেঞ্চুরিটি ছিল সফরকারী কোন খেলোয়াড়ের সবচেয়ে দুর্দান্ত ইনিংস। এই দুজনই সিডনির প্রতি আলাদা আবেগ অনুভব করেন।'

২৭৭ রানের ইনিংসসহ সিডনিতে চার টেস্ট খেলে লারার রান ৩৮৪। টেন্ডুলকারের এই মাঠে রেকর্ড অবিশ্বাস্য। ৫ টেস্ট খেলে   ১৫৭ গড়ে ৭৮৫ রান আছেন তার। ২০০৪ সালে ২৪১ রানের এক চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছিলেন সিডনিতে।

এমন সম্মান পেয়ে আপ্লুত শচিন দিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া,   'ভারতের বাইরে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড আমার প্রিয়। এখানে আমার দারুণ সব স্মৃতি আছে। ১৯৯১-৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে আমার প্রথম খেলা এখানে। বন্ধু ব্রায়ানের সঙ্গে একটি গেইটে নাম থাকা আমার জন্য দারুণ সম্মানের বিষয়।'

এমন উদ্যোগে নিজেকে ভীষণ সম্মানিত ভাবছেন লারাও,  'সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের এই উদ্যোগে আমি ভীষণ সম্মানিত। আমি নিশ্চিত শচিনও তাই। এই গ্রাউন্ড আমার ও আমার পরিবারের জন্য দারুণ স্মৃতিময়। যখনই অস্ট্রেলিয়ায় যাই তখন সিডনিতে যেতে আমার ভালো লাগে।'  সিডনির ওই ইনিংসের পর লারা তার মেয়ের জন্ম হলেও নাম রাখেন সিডনি। এতে বোঝা যায় মাঠটা তার জীবনে জড়িয়ে আছে কতটা।

Comments

The Daily Star  | English

Wait for justice: 21 years and counting

The final judgment in the cases is now pending with the Appellate Division as trial proceedings have been completed at the lower court and HC Division

11h ago