রুতুরাজের তাণ্ডব ছাপিয়ে রশিদ-গিলদের দারুণ শুরু

ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন গুজরাটের তারকা আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। বল হাতে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন তিনি। ব্যাট হাতে ছোট কিন্তু ভীষণ কার্যকর ইনিংস খেলেন অপরাজিত থাকেন।
ছবি: আইপিএল

রুতুরাজ গায়কোয়াড় একপ্রান্ত ধরে রেখে চালালেন তাণ্ডব। তাতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেল চেন্নাই সুপার কিংস। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় শুবমান গিলের পাশাপাশি গুজরাট টাইটান্সের বাকি ব্যাটাররা অবদান রাখলেন। ফলে জয় দিয়ে আইপিএলে শুভ সূচনা করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

শুক্রবার রাতে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ১৬তম আসর। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে গুজরাট। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাবে ৪ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন গুজরাটের তারকা আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। বল হাতে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন তিনি। ব্যাট হাতে ছোট কিন্তু ভীষণ কার্যকর ইনিংস খেলেন অপরাজিত থাকেন। ৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় তিনি করেন ১০ রান।

এক পর্যায়ে দলীয় দুইশর আশা জাগানো চেন্নাইয়ের ইনিংসের অর্ধেকের বেশি রানের যোগান দেন ওপেনার রুতুরাজ। ১৮৪ স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়ে তিনি করেন ৯২ রান। ৫০ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৪ চার ও ৯ ছক্কা। তবে তিনি ছাড়া বিশের ঘরে পৌঁছাতে পারেন কেবল মঈন আলী। ১৭ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ইংলিশ অলরাউন্ডার করেন ২৩ রান। গুজরাটের পক্ষে রশিদ ছাড়াও ২ উইকেট করে নেন মোহাম্মদ শামি ও আলজারি জোসেফ।

অধিনায়ক হার্দিক বাদে শিরোপাধারীদের হয়ে ক্রিজে যাওয়া বাকি সব ব্যাটার পৌঁছান দুই অঙ্কে। ওপেনার গিল ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ৬ চার ও ৩ ছক্কায়। দলকে উড়ন্ত শুরু দেওয়া আরেক ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৫ রান। তিনে নেমে ১৭ বলে ২২ রান করেন সাই সুদর্শন। ফিল্ডিংয়ের সময় কিউই ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন হাঁটুতে চোট পাওয়ায় তিনি ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে যান।

২১ বলে ২৭ রান আসে বিজয় শঙ্করের ব্যাট থেকে। রশিদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচ শেষ করা রাহুল তেওয়াতিয়া অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ১৫ রানে। ইনিংসের শেষ ৩ ওভারে ৩০ রান দরকার দাঁড়ায় গুজরাটের। রশিদ ও তেওয়াতিয়া জ্বলে ওঠায় সেই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে তারা।

শুরুতেই হারের তিক্ত স্বাদ নেওয়া চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের পক্ষে ৩৬ রান খরচায় ৩ উইকেট পান রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার। সবচেয়ে বড় ঝড় যায় পেসার তুষার দেশপান্ডের ওপর দিয়ে। আম্বাতি রাইডুর জায়গায় মাঠে নেমে আইপিএলের ইতিহাসের প্রথম ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হন তিনি। ৩.২ ওভারে ১ উইকেট নিতে তার খরচা ৫১ রান।

Comments