আইপিএল

শেষ বলের উত্তেজনায় কোহলিদের হারাল লক্ষ্ণৌ 

সোমবার রাতে আইপিএলের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের কাছে ১ উইকেটে হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আগে ব্যাট করে কোহলির ৪৪ বলে ৬১, দু প্লেসির ৪৬ বলে ৭৯ আর ম্যাক্সওয়েলের মাত্র ২৯ বলে ৫৯ রানে ২১২ করেছিল বেঙ্গালুরু। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারালেও শেষ বলে সমীকরণ মিলিয়ে নেয় লক্ষ্ণৌ।
Lucknow Super Giants
ছবি: আইপিএল

দীনেশ কার্তিক ঠিকমতো বলটা ধরতেই পারলেই হয়ত ম্যাচ যেন সুপার ওভারে। কার্তিকের ভুলে শেষ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্ট। বিরাট কোহলি, ফাফ দু প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের দাপটের দিনেও তাদের দল পেল না জয়ের দেখা। চরম বিপর্যয়ে বিস্ফোরক ইনিংসে আলো কেড়ে নিলেন মার্কাস স্টয়নিস, নিকোলাস পুরানরা। 

সোমবার রাতে আইপিএলের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের কাছে ১ উইকেটে হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আগে ব্যাট করে কোহলির ৪৪ বলে ৬১, দু প্লেসির ৪৬ বলে ৭৯ আর ম্যাক্সওয়েলের মাত্র ২৯ বলে ৫৯ রানে ২১২ করেছিল বেঙ্গালুরু। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারালেও শেষ বলে সমীকরণ মিলিয়ে নেয় লক্ষ্ণৌ।

উপরের চার ব্যাটারের ব্যর্থতার দিনে স্টয়নিস ৩০ বলে করেন ৬৫। আসরের দ্রুততম মাত্র ১৫ বলে ফিফটি করা পুরান থামেন ১৯ বলে ৬২ করে। শেষ দিকের নাটকীয়তায় দলকে তীরে ভেড়ান টেল এন্ডাররা। 

 

২১৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় লক্ষ্ণৌ। মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম ওভারে বোল্ড হয়ে যান কাইল মেয়ার্স। দীপক হুডা, ক্রুনাল পান্ডিয়াকে এক ওভারে তুলে নেন ওয়েইন পারনেল। 

২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া দল উদ্ধার পায় স্টয়নিসে। একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া অজি অলরাউন্ডার চার-ছক্কায় মাতোয়ারা করে তুলেন। ৩০ বলে ৬৫ করে রান তাড়ার সুর বেধে দেন তিনি। 

অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এদিনও ব্যর্থ। দ্বাদশ ওভারে তিনি যখন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তখন তার রান ২০ বলে ১৮। 

১০৫ রানে তখন নেই ৫ উইকেট। রান তাড়ার প্রবল চাপে কাবু থাকা সুপার জায়ান্টকে জাগিয়ে তুলেন পুরান। ক্যারিবিয়ান কিপার ব্যাটার স্রেফ করে গেছেন হিটিং। 

১৯ বলের উপস্থিতিতে ১১ বলেই মেরেছেন চার-ছক্কা। ১৫ বলে করে নেন ফিফটি। পুরান যখন আউট হন খেলা তখন অনেকটা হাতের মুঠোয় লক্ষ্ণৌর। তবে শেষ দিকে দারুণ বল করে ফিরে আসে বেঙ্গালুরু। 

শেষ ওভারে ৫ রানের সমীকরণে দ্বিতীয় বলেই উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল। উইকেট পান পঞ্চম বলেও। তবে শেষ পর্যন্ত এত অল্প রান আর ডিফেন্ড করা হয়নি। 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেন কোহলি। দু প্লেসিকে এক পাশে নীরব রেখে বানের মতো রান আনতে থাকেন তিনি। ওপেনিংয়ে ৯৬ রানের জুটিতে ৬১ রানই করেছেন কোহলি। কোহলির বিদায়ের পর হাল ধরে দলকে টেনে নিয়ে যান দু প্লেসি। তার সঙ্গে মিলে পরে তাণ্ডব লাগান ম্যাক্সওয়েল। অনায়াসে দুশো পার করে যায় স্বাগতিকরা। তবে ছোট মাঠে ম্যাচ শেষে বোঝা গেল এই পুঁজিও হয়নি যথেষ্ট। 

Comments