আইপিএল নিয়ে মাশরাফির ‘হেডেক’ নেই

Mashrafe Mortaza
ফাইল ছবি: বিসিবি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই মাশরাফি মর্তুজার। বাংলাদেশের যে দুজন আইপিএলে আছেন তারা একাদশে সুযোগ পেলেন কিনা তা নিয়েও কোন ভাবনা নেই তার। দেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক জানান তার মাথাব্যথা বাংলাদেশ দল নিয়ে।

এবার সর্বোচ্চ তিনজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের আইপিএল খেলার কথা ছিল। তবে সাকিব আল হাসান নাম সরিয়ে নেওয়ায় আইপিএলে আছেন দুজন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোয়াডে আছেন লিটন। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে এক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মোস্তাফিজ। তাতে খরুচে বল করে দলের হারের কারণ হন তিনি।

বৃহস্পতিবার মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নাটকীয় ম্যাচে ঢাকা লেপার্ডকে ১ রানে হারায় মাশরাফির লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

এই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন মাশরাফি। দলে যোগ দেওয়ার পর শুক্রবার কলকাতায় প্রথম ম্যাচ পাবেন লিটন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে সেই ম্যাচে লিটন একাদশে থাকবেন কিনা তা নিয়ে চলছে জল্পনা। তবে এই জল্পনা একদম পছন্দ হচ্ছে না মাশরাফির, 'আইপিএল নিয়ে আমার হেডেক নেই। আইপিএলে লিটন খেলবে কি না খেলবে এটা আমার চিন্তার বিষয় না। আইপিএল আমার কাছে হেডেক না, হেডেক হচ্ছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দল ভালো খেলবে, আমরা যারা আছি, আপনারা যারা আছেন, সবাই খুশি হব।'

আইপিএল শুরুর আগে ঢাকায় ভাড়া করা বিমান পাঠিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে উড়িয়ে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচে তাকে একাদশে সুযোগ দেয়নি দিল্লি। চতুর্থ ম্যাচে নেমে ৪ ওভারে ৩৮ রান দেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের শুরুতে সুযোগ না পাওয়া ও ভাড়া করা বিমানে উড়িয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশে হাইপ তোলার ইঙ্গিত মাশরাফির, 'আইপিএলে লিটন খেলছে, খুবই ভালো যে আমাদের একজন খেলছে। কিন্তু আপনি দেখুন, আমাদের মোস্তাফিজকে চার্টার্ড ফ্লাইটে নিয়ে ম্যাচ খেলায়নি। এখানে অনেক বিষয় থাকে, সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয় থাকে, আমরাও এক্সাইটেড হয়ে যাই। আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটা ফ্যানবেজ আছে। যেটা হয়তো তারা ইউজ করতে পারে। এই প্রায়োরিটি দেওয়া, আমাদের প্লেয়ারদের তো ওই অ্যাবিলিটি আছে। আমাদের নিলে যেন খেলায়। কিন্তু হয় না। এই জন্য এটা নিয়ে হেডেক দেখিয়ে লাভ নেই, আমাদের হেডেক হচ্ছে বাংলাদেশ দল।'

আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মাশরাফিরও। ২০০৯ সালে নিলাম থেকে তাকে ৬ লাখ মার্কিন ডলারে কিনে নিয়েছিল কলকাতা। আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি বাংলাদেশি ক্রিকেটারও তিনি। তবে মাঠের খেলায় হতাশ করেন মাশরাফি। এক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে পঞ্চাশ রানের বেশি দিয়েছিলেন। শেষ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দলের হারের কারণ হন। এরপর মাশরাফির আর সুযোগ হয়নি খেলার। শেষ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডও এতদিন ছিল মাশরাফির। এবার কলকাতার বিপক্ষেই রিঙ্কু সিঙ্গের হাতে পাঁচ ছক্কা খেয়ে গুজরাটের ইয়াশ দয়াল দিয়ে দেন ৩১ রান। 

Comments

The Daily Star  | English
CAAB pilot licence irregularities Bangladesh

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

9h ago