আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতি

সিলেটে দুয়ার বন্ধ করে তামিমদের ম্যাচ পরিস্থিতির অনুশীলন

ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে আয়ারল্যান্ড বিপক্ষে সিরিজ তাই কন্ডিশন মাথায় রেখে জুতসই প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। বুধবার সেখানে পৌঁছে বৃহস্পতিবার মাঠে নামেন তামিম ইকবালরা।
Tamim Iqbal & Chandika Hathurusingha
ছবি: শেখ নাসির/স্টার

তিন ঘন্টার অনুশীলনে কেবল ৩০ মিনিট গণমাধ্যম কর্মীদের ভেতরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বাকিটা সময়ে গেট একদম তালাবন্ধ করে সিলেটে নিবিড় অনুশীলন চালিয়েছে বাংলাদেশ দল। দলে নতুন আসা পেস অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী অবশ্য বললেন, তেমন কিছু না, ভেতরে কেবল ম্যাচ পরিস্থিতির প্রস্তুতি চালিয়েছেন তারা।

ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে আয়ারল্যান্ড বিপক্ষে সিরিজ তাই কন্ডিশন মাথায় রেখে জুতসই প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। বুধবার সেখানে পৌঁছে বৃহস্পতিবার মাঠে নামেন তামিম ইকবালরা।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে অনুশীলন। ১২টায় গণমাধ্যমকে মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এর খানিক পর ক্যামেরার সামনে হাজির হন মৃতৃঞ্জয়। এর আগে নেট বোলার হিসেবে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা হয়েছে তার। এবার দলেরই অংশ তিনি। শুরুতেই তাই নিজের রোমাঞ্চের কথা জানালেন, 'এর আগে দলের সঙ্গে হয়তো অনুশীলন করা হয়েছে। কিন্তু দলের ভেতর থেকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে এভাবে কখনো অনুশীলন করা হয়নি। সেক্ষেত্রে এটা অনেক বড় অর্জন। আজকে অনেক ভালো লাগাও ছিল যে নতুন কিছু শিখতে পারছি। সে হিসেবে বলবো আজকের দিনটা খুব ভালো গেছে।'

মৃত্যুঞ্জয় জানালেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এদিন হেঁটেছেন ম্যাচ পরিস্থিতির আদলে। খেলোয়াড়দের বিভিন্ন ম্যাচের ফেইজের লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। সেভাবেই যে যার ভূমিকায় নিজেদের শান দিয়ে দেখিয়েছেন সামর্থ্য,  'আজকে অনুশীলন যেটা হয়েছে সেটা হলো ম্যাচ কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে প্রথম দশ ওভারে কীভাবে খেলতে হবে, শেষ দিকে কীভাবে খেলতে হবে। এ অনুযায়ী যখন যে ব্যাটারকে যেভাবে নামানো হয়েছে, যে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, তুমি এখন দশ ওভার ব্যাট করছো; তখন তারা সেভাবে ব্যাট করছে। যাদের শেষে নামানোর পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে তখন তারা মেরে খেলেছে। আজকে শুধু ম্যাচ পরিস্থিতি এডজাস্ট করা হইছে।'

mrittunjoy chowdhury
পেসার মৃতুঞ্জয় চৌধুরী। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

মৃত্যুঞ্জয়কে দলে নেওয়া হয়েছে দুটো কারণে। প্রথমত তিনি মূল পেসারদের ব্যাকআপ হিসেবে থাকবেন। দলের আবহের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিজেকে তৈরি করবেন। এছাড়া পেস অলরাউন্ডারের ঘাটতি পূরণেও তার সামর্থ্য পরখ করে নিতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই বাঁহাতি জানালেন তিনি সেরাটা দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন,  'আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো প্রথমত। যদি সেরাটা দিতে পারি তাহলে হয়তো ভালো কিছু হবে। কিন্তু পারফরম্যান্সের দিক থেকে...বা সবকিছু একটা খেলোয়াড়ের হাতে থাকে না। আমার কঠোর পরিশ্রম ও আগ্রহ আমার হাতে আছে। বাদ বাকিটা আমি চালিয়ে যাই। যদি আল্লাহ লিখে রাখে ভালো কিছু হবে।'

আগামী মাসের শুরুতে আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ দল। ৯ মে থেকে চেমসফোর্ডে শুরু হবে সিরিজ। 

Comments

The Daily Star  | English

Political parties want road map to polls

Leaders of major political parties yesterday asked Chief Adviser Prof Muhammad Yunus for a road map to reforms and the next general election.

7h ago