আইপিএলের প্লে অফের লড়াইয়ে এগিয়ে যারা

ইতোমধ্যে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার দল শেষ ম্যাচে হারলেও শীর্ষেই থাকবে।

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ রানে হারিয়ে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্ট যেন অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলল। রান তাড়ায় কাছে গিয়েও এমন হারে চিন্তায় পড়ে গেল মুম্বাই। লিগ পর্বের খেলা শেষের দিকে আসতেই পরিষ্কার হতে শুরু করেছে শেষ চারটি স্পটের ছবি। 

ইতোমধ্যে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার দল শেষ ম্যাচে হারলেও শীর্ষেই থাকবে। দুইয়ে থাকা চেন্নাই সুপার কিংস শেষ ম্যাচ জিতলে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করবে, হারলেও শেষ চারে থাকার সুযোগ ভালোভাবেই আছে তাদের।

১৩ ম্যাচে ১৫ পয়েন্টে থাকা মাহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে ছুঁতে পারে একমাত্র লক্ষ্ণৌ। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে কিছুটা পিছিয়ে আছে তারা।

দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স হায়দরবাদ আর কোন হিসেবে নেই। শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও শেষ চারে উঠার জায়গা আর তাদের নেই। মুম্বাই শেষ ম্যাচে হেরে গেলে পড়বে বাদ পড়ার শঙ্কায়। জিতে গেলে তাদেরও নিশ্চিত হবে শেষ চার।

টুর্নামেন্টের শুরুতে দারুণ ক্রিকেট উপহার দেওয়া রাজস্থান রয়্যালস লিগ পর্বের শেষ ম্যাচগুলোতে পা হড়কেছে। অবিশ্বাস্যভাবে দুই হার তাদের সমীকরণ করে দিয়েছে কঠিন। সঞ্জু স্যামসনদের প্লে অফে উঠা নির্ভর করছে যদি, কিন্তুর উপর।নিজেদের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পাশাপাশি তাদের কামনা করতে হবে মুম্বাই ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হার।

বিরাট কোহলি, ফাফ দু প্লেসির বেঙ্গালুরু অবশ্য সুবিধাজনক অবস্থায়। তাদের হাতে এখনো আছে দুই ম্যাচ। রাজস্থানের সমান ১২ পয়েন্ট থাকলেও ম্যাচ একটি কম খেলায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে তারা। দুই ম্যাচের একটি জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে তাদের। সেক্ষেত্রে  মুম্বাইর হার ও রেনরেটের ইস্যু মাথায় রাখতে হবে। তবে দুই ম্যাচ জিতলে অন্য কোন সমীকরণের দিকে তাকাতে হবে না কোহলিদের।

কলকাতা নাইট রাইডার্সও অনেকটা হিসেবের বাইরে চলে গেছে। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে থাকা নিতিশি রানাদের রানরেট একদম সুবিধার নয়। অঙ্কের হিসেবে ছাড়া আসলে টুর্নামেন্টে প্লে অফে যাওয়ার পথ তাদের প্রায় অসম্ভব। 

Comments