প্রবাথের লড়াই ছাপিয়ে জিতল পাকিস্তান

পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ফিফটি হাঁকান ইমাম-উল-হক। ছবি: পিসিবি টুইটার

শেষ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮৩ রান, শ্রীলঙ্কার লাগত ৭ উইকেট। পাকিস্তানের দিকে হেলে থাকা ম্যাচে নাটকীয় কিছু ঘটল না। শ্রীলঙ্কার স্পিনার প্রবাথ জয়াসুরিয়ার লড়াই ছাপিয়ে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল তারা।

গলে পঞ্চম দিনে গড়ানো ম্যাচে বৃহস্পতিবার ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। এতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।

দিনের প্রথম সেশনেই খেলা শেষ করে দেয় বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল। আগের দিনের দ্বিতীয় ইনিংসে তোলা ৩ উইকেটে ৪৮ রান নিয়ে তারা খেলতে নেমেছিল। এদিন ১৭.৫ ওভার ব্যাট করে আর ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে তারা।

পাকিস্তানের পক্ষে ওপেনার ইমাম-উল-হক ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন। ৮৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ঠিক ৫০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তিনি ২৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ম্যাচের ইতি টানেন আঘা সালমান। লঙ্কানদের হয়ে ৫৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন প্রবাথ। প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।

শ্রীলঙ্কার স্পিনার প্রবাথ জয়াসুরিয়া। ছবি: এএফপি

টার্নিং উইকেটে চতুর্থ দিন বিকালে ১৩ ওভারের মধ্যে পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। অর্থাৎ অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। এতে নাটকীয় কিছু ঘটার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছিল। তবে ইমামের দায়িত্বশীল ইনিংসের পাশাপাশি অধিনায়ক বাবর ও সৌদ শাকিলের গতিশীল ব্যাটিংয়ে শেষ হাসি হাসে পাকিস্তান।

আগের দিনের ৬ রান নিয়ে খেলতে নামা বাবর ফেরেন ২৪ রানে। ২৮ বল খেলে ৫টি চার মারেন তিনি। তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন প্রবাথ। বাবর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয়ে রিভিউ নিলেও তা নষ্ট হয়। তার সঙ্গে ৪৫ বলে ৪১ রানের জুটির পর শাকিলের সঙ্গে মিলে ৫৫ বলে ৪৩ রান যোগ করেন ইমাম।

প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়া শাকিল আউট হন ৩০ রানে। রমেশ মেন্ডিসের বলে উইকেটরক্ষক সাদিরা সামারাবিক্রমার গ্লাভসবন্দি হন তিনি। তখন লক্ষ্য থেকে মাত্র ৯ রান দূরে ছিল পাকিস্তান। শাকিলের ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া পাকিস্তানকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে আসে ইমাম ও শাকিলের জুটি। এরপর সরফরাজ আহমেদ প্রবাথের শিকার হয়ে টিকতে না পারলেও তাই কোনো সমস্যা হয়নি দলটির।

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Shows ASK data; experts call for stronger laws, protection

1h ago