দল নির্বাচনে 'ইয়ো ইয়ো' পরীক্ষার ফলের প্রভাব থাকবে না

ছবি: বিসিবি

জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের 'ইয়ো ইয়ো' পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। তিন ধাপে সম্পন্ন হলো তাদের ফিটনেস যাচাইয়ের এই প্রক্রিয়া। ক্যাম্পে ডাক পাওয়াদের যারা অংশ নিলেন, তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে স্বস্তি ঝরল লির কণ্ঠে। পাশাপাশি তিনি জানালেন, দল নির্বাচনে এই পরীক্ষার ফলের কোনো প্রভাব থাকবে না।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে ধাপে ধাপে যান ফিটনেস ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা। সেখানে হয়েছে তাদের 'ইয়ো ইয়ো' পরীক্ষা। প্রথম ধাপে পরীক্ষা দেন মাহমুদউল্লাহ, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়রা। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন, শামীম হোসেনদের ডাক পড়ে। শেষ ধাপে মোস্তাফিজুর রহমান, জাকির হাসান, সৌম্য সরকার, সৈয়দ খালেদ আহমেদরা যান এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে হওয়া পরীক্ষা শেষে লি তুলে ধরেন 'ইয়ো ইয়ো' পরীক্ষার উদ্দেশ্য, 'গত তিন-চারদিন আমরা ক্রিকেটারদের কিছু স্ক্রিনিং (কিছু সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে মূল্যায়ন) করেছি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের দুই মাস আগে এখনই (ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে যাচাইয়ের) সত্যিকারের শেষ সুযোগ, কিছু তথ্য পাওয়ার। পাশাপাশি বিশ্বকাপের জন্য (তাদেরকে) যথাযথভাবে প্রস্তুত করার জন্য অনুশীলনে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে সেটিও দেখার শেষ সুযোগ।'

শিষ্যদের ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'তথ্য-উপাত্তের দিকে না তাকিয়ে, আমার মাথায় যা আছে তা থেকে বলতে পারি, সবার ("ইয়ো ইয়ো" পরীক্ষার) পারফরম্যান্স প্রায় একই রকম ছিল। এখানে এমন ক্রিকেটারও ছিল যারা সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের আশপাশে ছিল না অথবা চোটে ছিল অথবা দলের বাইরে ছিল। তাদের (স্কোর) কিছুটা কম ছিল। তবে সব মিলিয়ে কেউই কম গতিতে ছিল না। সবাই মোটামুটি একই ব্র্যাকেটে ছিল।'

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে লি মনে করিয়ে দেন দল বাছাইয়ে 'ইয়ো ইয়ো' পরীক্ষার ফলের ভূমিকা না থাকার কথা, 'এই পরীক্ষা দলে সুযোগ পাওয়া বা বাদ পড়ার কোনো অংশ নয়। এটি স্রেফ আমার, ফিজিও, মেডিকেল টিম, নির্বাচক, প্রধান কোচের বোঝার জন্য যে ক্রিকেটাররা কোন অবস্থায় আছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের নিয়ে কেমন কাজ করতে হবে। কারও হয়তো অনেক ভালো স্কিল থাকতে পারে, তবে ফিটনেসের দিক থেকে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তারা স্কিল ট্রেনিং কিছুটা কমিয়ে ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। যারা শারীরিকভাবে অনেক ফিট, তারা বেশি স্কিল ওয়ার্ক করতে পারে। তো এটি মূলত আমাদের তথ্য দেবে যে, আমরা আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের অনুশীলন কীভাবে সাজাব।'

ক্যাম্পে ডাক পেলেও যারা বিদেশি লিগে খেলছে বা সম্প্রতি দেশে ফিরেছে তাদের পরীক্ষা সামনে নেওয়ার পরিকল্পনা জানান তিনি, 'যারা বিদেশি লিগ খেলে এসেছে... (জিম-আফ্রো টি-টেন লিগ থেকে ফেরা) তাসকিন (আহমেদ) ও মুশফিক (মুশফিকুর রহিম), তারা বিশ্রাম নিয়ে দুইদিন পরে ("ইয়ো ইয়ো" পরীক্ষায় অংশগ্রহণ) করবে, যাতে ভ্রমণক্লান্তি ও ম্যাচের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারে। আমরা সপ্তাহের শেষে সেটা করার পরিকল্পনা করছি। কানাডায় আছে লিটন (দাস), সে ফেরার পর কিছু দিন বিশ্রাম নিয়ে আলাদাভাবে দেবে এই পরীক্ষা। শ্রীলঙ্কায় থাকা সাকিব (আল হাসান), শরিফুল (ইসলাম) ও (তাওহিদ) হৃদয়ের ক্ষেত্রে আমরা এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে দেখব।'

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া হাসান মাহমুদ এখনও শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করছেন। তিনি এদিন ছিলেন না 'ইয়ো ইয়ো' পরীক্ষায়।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

44m ago