বিশ্বকাপে 'স্পেশাল' কোনো ফলের আশায় আছেন মুশফিক

তরুণদের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার বড় সুযোগ দেখছেন মুশফিক।
বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে মুশফিকুর রহিম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মুশফিকুর রহিম ড্রেসিং রুম থেকে কোলে করার ভঙ্গিতে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে এলেন শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের মাঠে। সেখানে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল সোনালী ট্রফির সঙ্গে ক্রিকেটারদের ফটোসেশনের জন্য। পরে আইসিসির কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের আয়োজনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুশফিক প্রত্যাশা রাখলেন আগামী বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু অর্জন করার।

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন ছিল মঙ্গলবার। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একপাশে সাজানো মঞ্চে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। ড্রেসিং রুম থেকে হাসিমাখা মুখে মঞ্চে ট্রফি নিয়ে যান মুশফিক। ফটোসেশন শেষে আইসিসির আয়োজনে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে হয় অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে। 

আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের এই সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যেহেতু সবচেয়ে ভালো, সেহেতু তাদেরকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ রয়েছে উঁচুতে। আগের বিশ্বকাপগুলোতে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আরও ভালো করার প্রত্যয় শোনা যায় মুশফিকের কণ্ঠে, 'অভিজ্ঞতা অবশ্যই বড় একটি বিষয়। তবে কাগজে-কলমে যতই ভালো হই না কেন, নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় যে আমি অনেক ভাগ্যবান যে শেষের চারটি বিশ্বকাপ খেলেছি। এবারও যদি খেলার সুযোগ পেয়ে থাকি, তাহলে অবশ্যই চাইব যে গত চারটা বিশ্বকাপ যেমন ফল পেয়েছি, তার চেয়ে অনেক অনেক ভালো করতে পারি।'

ওয়ানডেতে সম্প্রতিক বছরগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশ বিশ্বকাপও রাঙাবে, এমন প্রত্যাশা তার, 'আমাদের সেই শক্তিমত্তা আছে, সেই বিশ্বাসটা আছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে নির্দিষ্ট দিনে আমরা কত ভালো শুরু করতে পারি। আমার মনে হয়, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেন আমরা ভালোভাবে শুরু করি। ওয়ানডেতে আমরা যেহেতু অভিজ্ঞ দল ও গত চার-পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিক খেলছি, তো অবশ্যই আশা তো করাই যায় যে অনেক ভালো একটা "স্পেশাল" (বিশেষ) কোনো ফল করব।' 

বাংলাদেশ দলে রয়েছে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল। মুশফিক, সাকিব আল হাসান, লিটন দাসের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা যোগাতে আছেন তাওহিদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্তরা। বোলিংয়ে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামরা।

তরুণদের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার বড় সুযোগ দেখছেন মুশফিক, 'আমার মনে হয়, এটা অবশ্যই অনেক বড় একটা সুযোগ তাদের জন্য। কারণ তারা গত যে কয়টা বছর খেলেছে, এরকম বড় কোনো ইভেন্টে খেলেনি। তবে তারা যেভাবে গত দুই-তিনটা বছর পারফরম্যান্স করেছে, আমার মনে হয়, এই একটা মঞ্চ, যেখানে তারা আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে। তারা যদি এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারে, তাহলে আমার মনে হয়... যেটা বললাম, অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আছে এবং যারা গত দুই-তিন বছর ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে, তাদের পারফরম্যান্সে এবার আমাদের ফল অনেক ভালো হবে।'

আগামী ৫ অক্টোবর মাঠে গড়াবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আগামী ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় হবে ম্যাচটি।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

18h ago