নাসিরের বিরুদ্ধে টি-টেন লিগে দুর্নীতির অভিযোগ আনল আইসিসি
আবুধাবি টি-টেন লিগ চলাকালে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতিবিরোধী কোড ভঙ্গের কারণে তাদের তরফ থেকে আটজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে আইসিসি। সেই তালিকায় আছেন এক সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
মঙ্গলবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে ওই খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার বিষয়টি জানিয়েছে। অভিযোগগুলো ২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর থেকে হওয়া টুর্নামেন্টটিতে ছয়টি দল খেলেছিল।
অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে আছেন খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও দলের মালিক। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা আবুধাবি টি-টেন লিগের ম্যাচগুলোতে দুর্নীতির চেষ্টা করেছেন। তবে সেসব প্রচেষ্টা ব্যাহত সফল হয়নি। ৩১ বছর বয়সী নাসিরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তিনটি ধারা ভঙ্গের দায়ে।
ইসিবির দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.৪.৩ ধারা অনুসারে, নাসির ৭৫০ ডলারের উপহারের রসিদ আইসিসির নিয়োগকৃত দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী, দুর্নীতির প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের বিস্তারিত তথ্য দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ২.৪.৬ ধারা অনুসারে, সম্ভাব্য দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তে কোনো ধরনের গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বা ব্যর্থ হয়েছেন।
নাসির ছাড়াও আইসিসি অভিযুক্ত করেছে কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আসহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান, সানি ধিলন ও শাদাব আহমেদকে। এদের মধ্যে কৃষাণ ও পরাগ দলের যৌথ মালিক, আসহার ব্যাটিং কোচ, ধিলন সহকারী কোচ এবং রিজওয়ান, সালিয়া ও শাদাব খেলোয়াড়।
নাসির ও শাদাব ছাড়া বাকিদের অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি সবাইকেই আজ থেকে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Comments