বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট

বাংলাদেশের আর মাত্র ৩ উইকেটের অপেক্ষা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চা বিরতির আগে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতির পর নিউজিল্যান্ডের আরও চার ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠাল তারা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভেলকি দেখাচ্ছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। সব মিলিয়ে তার শিকার ৮ উইকেট। ব্যাটারদের কল্যাণে দুই ইনিংসেই তিনশ ছাড়ানোর পর তাইজুলের বোলিং নৈপুণ্যে স্মরণীয় জয়ের পথে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগামীকাল শেষদিনে জয়ের জন্য তাদের দরকার আর মাত্র ৩ উইকেট।

শুক্রবার সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে কিউইদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৩ রান। তাদের সামনে রয়েছে ৩৩২ রানের লক্ষ্য ছোঁয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ জয় থেকে এখনও ২১৯ রান দূরে তারা। ম্যাচের পরিস্থিতি ও উইকেট বিবেচনায় নিউজিল্যান্ড অসম্ভব কিছু না করে ফেললে বাংলাদেশের জয় এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। 

টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় কেবল একটি। সেটা গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইতে। সাদা পোশাকের লড়াইয়ে অবশ্য নিজেদের মাঠে কিউইদের এখনও হারাতে পারেননি টাইগাররা। বাংলাদেশ হওয়া দুই দলের আগের ছয় টেস্টের তিনটি জিতেছে কিউইরা, বাকি তিনটি হয়েছে ড্র। এই ম্যাচ দিয়ে সেই পরিসংখ্যান পাল্টানোর খুব কাছে বাংলাদেশ।

ক্রিজে সফরকারীদের একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে আছেন ড্যারিল মিচেল। তিনি খেলছেন ৮৬ বলে ৪৪ রানে। তার সঙ্গে খেলছেন ২৪ বলে ৭ রান করা ইশ সোধি। উইকেটে আসার অপেক্ষায় আছেন কেবল কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি ও এজাজ প্যাটেল।

৭ উইকেটের চারটি নিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। তার খরচা ৪০ রান। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম।

৩ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে তৃতীয় সেশনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। বিপর্যয় সামলাতে বড় জুটির দরকার ছিল তাদের। কিন্তু দলটির ব্যাটারদের থিতু হতে দিচ্ছেন না বাংলাদেশের স্পিনাররা।

স্কোরবোর্ডে আর ৯ রান যোগ করতে বিদায় নেন ডেভন কনওয়ে। তাইজুলের বলে শর্ট লেগে শাহাদাতের তালুবন্দি হন তিনি। অনেকক্ষণ ক্রিজে ছিলেন কনওয়ে। কিন্তু ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। ৭৬ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। টম ব্লান্ডেলকে এরপর অসাধারণ একটি ডেলিভারিতে বিদায় করেন তাইজুল। টার্ন ও বাউন্সে পরাস্ত হয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে জমা পড়ে ব্লান্ডেলের ক্যাচ। ১৬ বলে তার রান ৬।

তাইজুল ও মিরাজ একটানা বল করে যাওয়ায় নাঈম বল হাতে পান অনেক পরে। তবে আক্রমণে এসে উল্লাসে মাততে বেশি দেরি করেননি। গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে মিচেলের ২১ রানের জুটি তিনি ভেঙে দেন। এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে এটিই যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ফিলিপস। মাঠের আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে অবশেষে সফল হয় বাংলাদেশ। আগের দুটি রিভিউ নষ্ট হয়েছিল তাদের।

৩৭তম ওভারে নাঈমের বলে লেগ স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। ফলে ব্যক্তিগত ২৯ রানে বেঁচে যান মিচেল। কিউইদের প্রথম ইনিংসে নাঈমের বলেই কেইন উইলিয়ামসনের দুটি ক্যাচ মিস করেছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। পরে উইলিয়ামসন করেছিলেন সেঞ্চুরি।

মিচেলের সঙ্গে জেমিসনের জুটিতেও আসে ঠিক ২১ রান। তাইজুলের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর রিভিউ নষ্ট করে ফিরে যান সাজঘরে। ২৮ বলে ৯ রান আসে জেমিসনের ব্যাট থেকে। দিনের শেষদিকে সোধির বিপক্ষে নাঈমের বলে বাংলাদেশের আবেদনে এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল চলে যেত স্টাম্পের উপর দিয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Baitul Mukarram to host five Eid jamaats

Prayer times: 7am, 8am, 9am, 10am, 10:45am

1h ago