আইসিসির ডিসেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে তাইজুল

পুরুষ বিভাগে সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার সঙ্গে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে অসাধারণ বোলিং উপহার দেন তাইজুল ইসলাম। চমৎকার পারফরম্যান্সের সুবাদে বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার জায়গা করে নিলেন আইসিসির ডিসেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে। পুরুষ বিভাগে সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার সঙ্গে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।

পুরুষ ও নারী ক্রিকেটে গত মাসের সেরা খেলোয়াড় বেছে নিতে সোমবার তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। নারী বিভাগে লড়াইয়ে থাকারা হলেন জিম্বাবুয়ের প্রেশাস মারাঙ্গে এবং ভারতের জেমিমা রদ্রিগেজ ও দীপ্তি শর্মা।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করে বাংলাদেশ। সিলেটে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ১৫০ রানের ব্যবধানে জেতে টাইগাররা। কিউইদের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে এটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। ওই টেস্টে তাইজুল রাখেন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটসহ মোট ১০ উইকেট নিয়ে তিনি হন ম্যাচসেরা।

মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হারলেও তাইজুল ফের ছিলেন উজ্জ্বল। দুই ইনিংস মিলিয়ে তার শিকার ছিল ৫ উইকেট। ধারাবাহিক নৈপুণ্যের কারণে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও ওঠে তাইজুলের হাতে।

২০২৩ সালটা স্বপ্নের মতো ছিল ডানহাতি পেসার কামিন্সের জন্য। তার নেতৃত্বে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি অ্যাশেজ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া। মধুর একটি বছরের সমাপ্তি সম্ভাব্য সেরা উপায়েই টানেন তিনি।

গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের আঙিনায় দুটি টেস্ট খেলে অজিরা। সেখানে বোলার ও অধিনায়ক, দুই ভূমিকাতেই কামিন্স ছিলেন অসাধারণ। পার্থে ৩ উইকেট নেওয়ার পর মেলবোর্নে নিজের সেরাটা নিংড়ে দেন। বক্সিং ডে টেস্টের দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি।

৯৭ রানে মোট ১০ উইকেট নেওয়ায় অনুমিতভাবেই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন কামিন্স। একই ম্যাচে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫০তম উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। মেলবোর্নে জিতে সিরিজও নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে তারা ফেরে আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ফিলিপস মেলে ধরেন নিজের অলরাউন্ড সামর্থ্য। প্রথম টেস্টে ৪২ ও ১২ রান করার পাশাপাশি নেন মোট ৫ উইকেট।

মিরপুরে অতি স্পিনবান্ধব উইকেটে দ্বিতীয় টেস্ট ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা টানে নিউজিল্যান্ড। ওই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন ফিলিপস। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই দলের বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৭২ বলে আক্রমণাত্মক ৮৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ বলে অপরাজিত ৪০ রান করে কিউইদের জয় পাইয়ে দেন। পাশাপাশি তার ঝুলিতে যায় ৩ উইকেট।

পুরুষ বিভাগে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার 'আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ' পুরস্কার পেয়েছেন। সাকিব আল হাসান দুবার ও মুশফিকুর রহিম একবার মাসসেরা হয়েছেন।

Comments