বিপিএল ২০২৪

বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে চান ‘শতভাগ দুর্ভাগা’ আল-আমিন

Al-Amin Hossain

আল-আমিন হোসেন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন প্রায় চার বছর আগে। টি-টোয়েন্টিতে জুতসই পারফর্ম করলেও তার ক্যারিয়ার থমকে যাওয়ার পেছনে মাঠের বাইরের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণও থাকে আলোচনায়। বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় না থাকা ডানহাতি পেসার ফের নিজেকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পেছনে নিজেকে শতভাগ দুর্ভাগা দাবি করে আসছে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে ৩১ ম্যাচ খেলে ৪৩ উইকেট আছে আল-আমিনের। উইকেট প্রতি খরচ করেছেন স্রেফ ১৬.৯৭ রান, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.১৩ করে। বেশ ভালো পারফরম্যান্সই বলা চলে।

২০২০ সালের মার্চে সর্বশেষ যে টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তাতে ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে আছে তার ২ উইকেট।  এরপর ক্রমশ হারিয়েই যেতে থাকেন ৩১ পেরুনো পেসার। ঘরোয়া ক্রিকেটও তার কাটে সাদামাটা।

সম্প্রতি জাতীয় ক্রিকেট লিগে ভালো বল করে ফের নজরে এসেছেন। এবার বিপিএল খেলবেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। সোমবার পূবেরগাঁও ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে অনুশীলন সেরে এই পেসার জানালেন আশাটা এখনো মরে যায়নি তার, 'এই বিপিএল আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং এই কারণে যে সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। যেহেতু আমার টি-টোয়েন্টি রেকর্ড খুব ভালো, আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি দুই-তিনটা। এখন পর্যন্ত ৩৩টা ম্যাচ খেলেছি উইকেট পেয়েছি মনে হয় ৪৪ (আসলে ৩১ ম্যাচে ৪৩ উইকেট)। ইকোনমি ৭ পয়েন্ট টু জিরো বা ওয়ান জিরো এরকম (৭.১৩)।'

'আমাদের দলটা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) ভালো। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতন দল। যদি ভালো খেলি, দলের জন্যও লাভ হবে। আর যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে সামনে একটা ভালো সুযোগ আসতে পারে আমার কাছে।'

সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৬ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছেন, পেসারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। লাল বলে ভালো করে এখন সাদা বলেই সেই ছন্দ টেনে আনার তাড়না পাচ্ছেন আল-আমিন। তার এবারের লক্ষ্য  বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী  হওয়া, আর সেটা হতে পারলে নির্বাচকদের কাছে যাবে শক্ত বার্তা,  'টি-টোয়েন্টি অলওয়েজ ওপেন। নির্বাচকদের কথা থেকে বোঝা যায় টি-টোয়েন্টিতে কেউ থিতু না। এখানে যেহেতু বৈচিত্র্যের ব্যাপার থাকে, সেদিক থেকে এগিয়ে থাকব। যদি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হই তাহলে আপনারাও বলতে পারবেন তাকে কেন নিচ্ছেন না।'

'আমার কাজ পারফর্ম করা। জাতীয় লিগে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছি বা সেরা পাঁচে ছিলাম। একইরকম বিপিএল ও প্রিমিয়ার লিগেই সর্বোচ্চ উইকেট নিতে পারলে নির্বাচকদের আপনারাও চাপ দিতে পারবেন যেন কেন নিচ্ছেন না।'

ফিরে আসার তীব্র তাড়না নিয়ে কাজ করা আল-আমিন চার বছর আগে ছন্দে থেকেও বাদ পড়ায় নিজেকে ভাবেন দুর্ভাগা, 'শতভাগ দুর্ভাগা।  টি-টোয়েন্টিতে যখন আমাকে বাদ দিয়েছে তখন যদি একটা বোলার খেলত আমিই খেলতাম। তাদের হয়ত অন্য পরিকল্পনা ছিলো এজন্য বাদ দিয়েছে। নির্বাচকদের এই প্রশ্ন করলে আমার থেকে ভালো উত্তর দিতে পারত।'

তবে আল-আমিনের জাতীয় দলে না থাকার পেছনে পারফরম্যান্সের বাইরেও মাঠের বাইরের প্রসঙ্গ শোনা যায় বারবার। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্পর্শকাতর এক কারণে তাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

10h ago