বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই শরিফুলের হ্যাটট্রিক
ইমরুল কায়েস আর তাওহিদ হৃদয়ের শতরানের জুটিতে বেশ ভালোভাবেই এগুচ্ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৯তম ওভার পর্যন্ত স্রেফ এক উইকেট পড়েছিল তাদের। এই জুটি ভাঙার পর ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে বসলেন দুর্দান্ত ঢাকার শরিফুল ইসলাম।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ইতিহাসের সপ্তম হ্যাটট্রিক করেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল। ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ, পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ বলে খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাইদুল ইসলাম অঙ্কনকে আউট করেন তিনি। শরিফুলের শেষ ওভারের ঝলকের পর ৬ উইকেটে ১৪৩ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস।
স্লগ ওভারে মারার তাড়না ছিলো ব্যাটারদের। পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল নেমে সেই তালেই ছিলেন। শরিফুলের শেষ ওভারের প্রথম বলে রান না পেলেও পরের দুই বলে তিন মারেন দুই ছক্কা।
চতুর্থ বলও একই ঠিকানায় পাঠাতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় হয়ে যায় তার, সহজ ক্যাচ ধরেন তাসকিন আহমেদ। ক্যারিবিয়ান ব্যাটার রোস্টন চেজ ক্রিজে এসেই উড়াতে যান। তবে গতির তারতম্য বুঝতে পারেননি। লং অন থেকে অনেকখানি এগিয়ে এসে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন নাঈম শেখ। শেষ বলে অঙ্কনও উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন। সোজা ক্যাচ উঠলে কিপার ইরফান শুক্কুর ছুটে এসে নিরাপদে গ্লাভসে জমান। হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন শরিফুল। ইনিংস শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-০-২৭-৩।
শরিফুলের আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলারদের হ্যাটট্রিক আছে আরও সাতটি।
টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে এদিন অধিনায়ক লিটন দাসকে শুরুতেই হারায় কুমিল্লা। এরপর ইমরুল-হৃদয় ১০৭ রানের জুটি গড়েন। যদিও
তাদের জুটির গতি ছিলো মন্থর। হৃদয় ফেরেন ৪১ বলে ৪৭ করে, ইমরুল ৫৬ বলে করেন ৬৬।
বিপিএলে যত হ্যাটট্রিক
১) মোহাম্মদ সামি (দুরন্ত রাজশাহী) - প্রতিপক্ষ ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস (২০১২)
২) আলআমিন হোসেন (বরিশাল বুলস) - প্রতিপক্ষ সিলেট সুপারস্টারস (২০১৫)
৩) আলিস আল ইসলাম (ঢাকা ডায়নামাইটস) - প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স (২০১৯)
৪) ওয়াহাব রিয়াজ (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস) - প্রতিপক্ষ খুলনা টাইটানস (২০১৯)
৫) আন্দ্রে রাসেল (ঢাকা ডায়নামাইটস) - প্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিং (২০১৯)
৬) মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) - প্রতিপক্ষ সিলেট সানরাইজার্স (২০২২)
৭) শরিফুল ইসলাম (দুর্দান্ত ঢাকা) - প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (২০২৪)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশি বোলারদের হ্যাটট্রিক তালিকা
১) আলআমিন হোসেন (বিসিবি একাদশ) - প্রতিপক্ষ আবাহনী লিমিটেড (২০১৩)
২) আলআমিন হোসেন (বরিশাল বুলস) - প্রতিপক্ষ সিলেট সুপারস্টারস (২০১৫)
৩) আলিস আল ইসলাম (ঢাকা ডায়নামাইটস) - প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স (২০১৯)
৪) মানিক খান (প্রাইম দোলেশ্বর) - প্রতিপক্ষ বিকেএসপি (২০১৯)
৫) কামরুল ইসলাম রাব্বি (ফরচুন বরিশাল) - প্রতিপক্ষ মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী (২০২০)
৬) আলাউদ্দিন বাবু (ব্রাদার্স ইউনিয়ন) - প্রতিপক্ষ লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জ (২০২১)
৭) মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)- প্রতিপক্ষ সিলেট সানরাইজার্স (২০২২)
৮) শরিফুল ইসলাম (দুর্দান্ত ঢাকা) - প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (২০২৪)
Comments