ফের টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা হয়ে সূর্যকুমারের নতুন কীর্তি

২০২৩ সালে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে ১৮টি ম্যাচ খেলেন সূর্যকুমার। ৪৮.৮৬ গড়ে ও ১৫৫.৯৫ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ছিল ৭৩৩ রান।

দুটি বিধ্বংসী সেঞ্চুরির সঙ্গে পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি। গড় পঞ্চাশের কাছাকাছি, স্ট্রাইক রেট ১৫০-এর বেশি। অর্থাৎ বছরজুড়ে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে ভীষণ উজ্জ্বল ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। এমন দানবীয় পারফরম্যান্সের সুবাদে নতুন কীর্তি গড়লেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার। টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন তিনি।

বুধবার ২০২৩ সালের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ছেলেদের বিভাগে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পরপর দুই বছর বর্ষসেরা হয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী সূর্যকুমার।

বর্তমানে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান সূর্যকুমারের। এবি ডি ভিলিয়ার্সের পর ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটার হিসেবে পরিচিত ডানহাতি ব্যাটারের রেটিং পয়েন্ট ৮৬৯। তার ধারেকাছে নেই আর কেউ।

২০২৩ সালে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে ১৮টি ম্যাচ খেলেন সূর্যকুমার। ৪৮.৮৬ গড়ে ও ১৫৫.৯৫ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ছিল ৭৩৩ রান। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর ব্যাটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে গত বছর সবচেয়ে বেশি রান তারই। ৬১ চারের সঙ্গে ৪৩ ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। জানুয়ারিতে রাজকোটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১ বলে অপরাজিত ১১২ রানের পর ডিসেম্বরে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৬ বলে ঠিক ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

টি-টোয়েন্টিতে গত বছর সূর্যকুমার ১৭ ইনিংসের মধ্যে স্রেফ চারটিতেই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। তার ক্যারিয়ারের চারটি সেঞ্চুরির মধ্যে দুটি আসে এসময়ে, ১৭ হাফসেঞ্চুরির মধ্যে পাঁচটি। তাছাড়া, ভারতকে সাতটি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। এর পাঁচটিতেই জেতে দলটি।

বর্ষসেরা হওয়ার লড়াইয়ে সূর্যকুমার হারিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার মার্ক চ্যাপম্যান, জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ও উগান্ডার বাঁহাতি স্পিনার আলপেশ রামজানিকে। এর আগে গত রোববার ঘোষিত ২০২৩ সালের আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নেন তিনি। সেই দলের অধিনায়কও নির্বাচন করা হয় তাকে।

Comments