আঙুলের যন্ত্রণা ভুলে দলকে জিতিয়ে কাঁদলেন শামার

Shamar Joseph
ছবি: আইসিসি

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় মিচেল স্টার্কের ইয়র্কারে পায়ের আঙুলে চোট লাগে শামার জোসেফের। বল করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ছিলো সংশয়। তবে যন্ত্রণা ছাপিয়ে শামার ঠিকই নামলেন মাঠে, অবিশ্বাস্য স্পেলে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে উড়লেন। পরে নিজেই জানালেন পাঁচ উইকেট পাওয়ার পর চোখ দিয়ে আনন্দাশ্রু বেরিয়ে এসেছিলো তার।

গত কয়েক সপ্তাহের শামারের জীবনে অবিশ্বাস্য পালাবদল এসেছে। দেড় বছর আগেও তিনি ছিলেন সাধারণ এক নৈশ-প্রহরী। ক্রিকেটের প্রতি তীব্র প্রেম থেকে জীবন সংগ্রাম পেরিয়ে মাত্র ৫টি প্রথম শ্রেণীর অভিজ্ঞতা নিয়ে আসেন টেস্টে।

অ্যাডিলেডে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিয়ে নিজের আগমন বার্তা দেন। তবে দল না জেতায় পূর্ণতা পাচ্ছিল না কিছু। ব্রিসবেনে ৬৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে হারিয়ে দেওয়ার দুর্দান্ত এক ঘটনায় স্মরণীয় হলেন তিনি।

৭ উইকেটের সবগুলোই শামার নিয়েছেন চতুর্থ দিনে। অথচ এদিন তার বোলিং করা নিয়ে ছিলো সংশয়। পায়ের যন্ত্রণা দূরে রেখে পরে ঠিকই বল নিয়ে ছুটে দেখান গতির ঝাঁজ। ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটারের আশেপাশে বল করেছেন নিয়মিত, বাড়তি বাউন্সে নাকাল করেছেন ব্যাটারদের।

জশ হ্যাজেলউডের স্টাম্প ক্ষিপ্র দৌড়ে যেভাবে বাউন্ডারি লাইনের কাছে চলে যান তাতে তার আঙুলে ব্যথা আছে বলে মনেই হয়নি। ম্যাচ শেষে ২৪ পেরুনো গায়ানার ডানহাতি পেসার বললেন, কিছু করে দেখানোর তীব্রতা থেকে নিজেকে নিংড়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেটা করতে পারের আনন্দে চোখ ভিজে গেছে জলে, 'আমি আমার সতীর্থদের জন্য চিৎকার করতে চাই তাদের অনুপ্রেরণার জন্য। আমি ব্যথা নিয়ে দলের জন্য, ক্যারিবিয়ান মানুষের জন্য ছুটেছি। সাকালে ডাক্তার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি কেমন বোধ করছি। আমি বলেছি আমার প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। তিনি আমাকে মাঠে আসতে বলেছিলেন, বিশ্বাস করেছিলেন আমি পারব। যখন আমি পাঁচ উইকেট নিলাম আনন্দাশ্রু বেরিয়ে এলো।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago