একদিনে ৬০০ রান তোলায় চোখ ইংল্যান্ডের

Ollie Pope

ট্রেন্টব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ইংল্যান্ডের ওভারপ্রতি রান তোলার গড় ছিল সাড়ে চারের বেশি। সেই তালে না খেললেও দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে যথাক্রমে সেঞ্চুরি ও ফিফটি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন অলি পোপ। তার বিশ্বাস, উপযুক্ত পরিস্থিতি পেলে টেস্টের একদিনে ৬০০ রানও তুলতে পারবে ইংলিশরা।

টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড দুই ইনিংসেই চারশ রান অতিক্রম করেছে ট্রেন্টব্রিজে। প্রথম ইনিংসে ১৬৭ বলে ১২১ রান করা পোপ দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ বলে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেবার একদিনে ৪ উইকেটে ৫০৬ রান তুলেছিল ইংলিশরা, সেদিন সেঞ্চুরি করা চার ব্যাটারের একজন ছিলেন পোপ। ওইদিন পুরো ৯০ ওভার খেলা হয়নি। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে পেরেছিল ৭৫ ওভার।

প্রথম দল হিসেবে টেস্টের একদিনে ৫০০ রান তোলার ওই কীর্তির পর ইংল্যান্ডের দৃষ্টি এখন আরও উঁচুতে। পোপ বলেন, 'আমি মনে করি, যখন বাজ (ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম) এবং স্টোকসি (স্টোকস) দায়িত্ব নেন, তখন আমরা এমন একটি ব্যাটিং ইউনিট ছিলাম যাদের অভিজ্ঞতার অভাব না থাকলেও আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। তখন ছিল আত্মবিশ্বাস তৈরির ব্যাপার। আর এখন আশা করা যায়, (ব্যাটিংয়ে) আমরা আরও বেশি নির্দয় হয়ে উঠব।'

পরিস্থিতির চাহিদা মিটিয়ে দেখেশুনে খেলার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের পক্ষে একদিনে ৬০০ রান আনাও সম্ভব বলে মনে করেন ডানহাতি ব্যাটার পোপ, 'কখনও কখনও আমরা একদিনে হয়তো ২৮০-৩০০ রানও করতে পারি। এটিও ঠিক আছে। কারণ, সেসময় সম্ভবত আমরা (উইকেট ও কন্ডিশনের) পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করব।'

'আমরা ট্রেন্টব্রিজে দেখেছি, যখন আলো (ফ্লাডলাইট) জ্বালানো হয়েছিল, তখন (বল) আরও বেশি সুইং করতে শুরু করেছিল। তাই কিছুটা দেখেশুনে খেলার প্রয়োজন ছিল। এই কাজে আমরা আরও বেশি পারদর্শী হতে চাই। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন দিনও আসবে যেদিন হয়তো আমরা মাঠে যাব ৫০০ বা ৬০০ রান করতে। এটি দারুণ একটি ব্যাপার হবে।'

এক ম্যাচ হাতে রেখেই ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ট্রেন্টব্রিজে ২৪১ রানে জেতার আগে লর্ডসে ইনিংস ও ১১৪ রানে জিতেছিল বেন স্টোকসের দল।

Comments

The Daily Star  | English
child victims of July uprising Bangladesh

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

10h ago