তানভীর, আলিসের স্পিনে খাবি খেয়ে বিধ্বস্ত চট্টগ্রাম
প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটা জিতে উড়ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আগের ম্যাচে হেরে ছিলো চাপে। দুই দলের বাস্তবতার এই ছবি মিলল না মুখোমুখি লড়াইয়ে। তানভীর ইসলাম ও আলিস আল ইসলামের ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয়ে গেল চট্টগ্রাম। তাদের একশোর ভেতর আটকে সহজ জয় পেল কুমিল্লা।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। আগে ব্যাটিং পেয়ে মাত্র ৭২ রানে শেষ হয় চট্টগ্রাম। মামুলি এই পুঁজি ১০ ওভার বেশ থাকতে থাকতে জিতে চলতি আসরে তৃতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে কুমিল্লা।
মামুলি রান তাড়ায় কুমিল্লার ক্ষত অধিনায়ক লিটন। পুরো বিপিএলে ভীষণ বিবর্ণ এই ব্যাটার আরও একবার বাজে শটে দেন আত্মাহুতি। ৯ বলে ফেরেন ২ রান করে।
তিনে নেমে আগের ম্যাচে ফিফটি করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবার ব্যর্থ তিনি ফেরেন ৫ বলে ৫ রান করে। তবে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। রানের চাপ না থাকায় প্রান্ত ধরে রাখেন তিনি। চারে নেমে তাওহিদ হৃদয় দ্রুত ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার চিন্তায় হাঁটতে থাকেন। ১৩ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ৩১ করে হৃদয় যখন জিয়াউর রহমানের বলে আউট হয়ে ফেরেন, ততক্ষণে ম্যাচ কুমিল্লার পকেটে।
সন্ধ্যায় টস জিতে বল করতে নেমে চট্টগ্রামের উইকেট পতনের শুরুটা করেন অবশ্য রেমন্ড রেইফার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই তানজিদ হাসান তামিমকে ফেরান তিনি। টম ব্রুস-আবিস্কা ফার্নেদো মিলে জুটির চেষ্টায় ছিলেন, জমেনি তা। চতুর্থ ওভারে ফার্নেন্দোকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে উইকেট নেওয়া শুরু করেন তানভীর।
এই স্পিনার নিজের পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন শাহাদাত হোসেন দিপু আর সৈকত আলিকে। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে টানতে পারেননি কিপার ব্যাটার ব্রুস। তাকে এলবিডব্লিউ করে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলেন বাঁহাতি স্পিনার। ৪৮ রানের ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যাওয়া চ্যালেঞ্জার্সের পরিস্থিতি আরও নাজুল করতে থাকেন আলিস আল ইসলাম।
রহস্য স্পিনার খ্যাতি পাওয়া আলিস নাজিবুল্লাহ জাদরান, জিয়াউর রহমানের উইকেট পেলে দিশেহারা অবস্থা হয় চট্টগ্রামে। এমন বিপন্ন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তুলতে পারেননি অধিনায়ক শুভাগত হোম। পাকিস্তানি পেসার আমির জামালের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ছন্দহীন মোস্তাফিজুর রহমান আল-আমিনকে আউট করে ফেলেন নবম উইকেট। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কের সরাসরি থ্রোতে বিলাল খান রান আউট হলে ২১ বল আগেই থেমে যায় চট্টগ্রাম। এক ইনিংস পরই ম্যাচের ফল হয়ে পড়ে অনেকটা অনুমিত। ছুটির দিনে সিলেটের গ্যালারিতে আসা দর্শকদের একপেশে পানসে ম্যাচের হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় ঘরে।
Comments