বিপিএলে নেমেই ঝলক দেখিয়ে নিশাম বললেন, ‘এটা নতুন কিছু না’
আগের দিন বাংলাদেশে এসেছিলেন জিমি নিশাম। ইমরান তাহির আর রেজা হেনড্রিকস তো এলেন আজ সকালে। সকালে এসেই দুপুরে খেলতে নামেন তারা। বিদেশি এই তিন তারকার পারফরম্যান্স অবশ্য ভ্রমণ ক্লান্তির কোন ছাপই মিলল না। রংপুরের জয়ে তারা রাখলেন অবদান। নিশাম তো অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হলেন ম্যাচ সেরাও।
এবারের আসরে এই প্রথম দুইশো রানের পুঁজি গড়ে কোন দল। রংপুর রাইডার্সকে ২১১ রান এনে দিতে হেনড্রিকস করেন ৪১ বলে ৫৮। নিশাম শেষের ঝড়ে রাখেন বড় অবদান। ৯ রানে একবার জীবন পেয়ে ২৬ বলে ৫ চার, ৩ ছক্কায় করেন ৫১। । পরে বল হাতে ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচ সেরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিশামের সঙ্গে এসএ টি-টোয়েন্টি খেলে সকালে ঢাকায় আসেন তাহিরও। ৪৪ পেরুনো লেগ স্পিনার ২৮ রান দিয়ে পান ১ উইকেট।
পরে সংবাদ সম্মেলনে এসেই খেলতে নামা নিয়ে বলেন কতটা ঠাসা সূচির চাপ ছিলো তাদের উপর, 'হ্যাঁ, অনেকটা ঝড়ের মতন (আসা)। এখনো পর্যন্ত খুব ভালো। কাল সকালে এসেছি, অবশ্যই সবার সঙ্গে দেখা হলো অনুশীলনে। আমাদের খুব মানসম্পন্ন দল। আমি আসার আগেই দল টেবিলের শীর্ষে ছিলো। কাজেই মোমেন্টাম ধরে রাখার একটা চাপ ছিলো নেওয়ার চেষ্টা করছি। আজকের ম্যাচটা যেমন গেল তাতে খুশি। টপ অর্ডার কঠিন উইকেটে আমাদের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলো। যেভাবে শেষ করতে পেরেছি খুব প্রীত।'
নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার নিশাম এর আগে কখনই বিপিএল খেলেননি। বিপিএলে এর আগে এলেও খেলা হয়নি তাহিরেরও। হেনড্রিকসেরও এদিন ছিল বিপিএল অভিষেক।
ফ্র্যাঞ্চাইটি টি-টোয়েন্টির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার বাস্তবতায় আজ এখানে, কাল ওখানে ঘুরে খেলতে যাওয়া এবং পারফর্ম করা নিশামের কাছে নতুন কিছু না, 'এটা নতুন কিছু না। গত কয়েক বছর ক্রিকেট এভাবেই বিকশিত হয়েছে। অনেক ভ্রমণ, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গিয়ে টুর্নামেন্ট জেতা। এটা এমন কিছু যেটা আমি আগেও করেছি, এর সঙ্গে পরিচিত। শুরুতেই না মেরে এই কন্ডিশনে আগে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে প্রথম ১০ বল একটু দেখে তারপর বাউন্ডারির খোঁজ করা। যেটা আগে বললাম টপ অর্ডার আমাদের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলো। আমরা প্রথম ১০ ওভারে যে মোমেন্টাম পেয়েছিলাম এটা ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়েছে।'
কোন একটা টুর্নামেন্ট খেলতে দরকার প্রস্তুতি। যে দলে খেলতে হবে সেই দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারও আছে। তবে প্রযুক্তির সুবাদে এখন নিজের প্রস্তুতি নিজেই নিয়ে নেওয়া যায়, 'বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এটা একদমই প্রথাগত। আপনাকে প্রতিপক্ষের বোলার, ব্যাটারদের ভিডিও দেখতে হবে। যা আসতে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। কোচ, সহকারি কোচ বা অধিনায়কের বলার বিষয় নাই কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এটা নিজের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা। আমাদের হাতের কাছে সব প্রযুক্তি আছে বিশ্লেষণ করার জন্য। এখানে কিছু খেলোয়াড় চিনবেন, কিছু চিনবেন না। নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে। আজকে যেটা কাজে দিয়েছে।'
Comments