সাকিবের আউটে তামিমের ‘অন্যরকম উদযাপন’, হাইলাইটস দেখবেন মুশফিক 

দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ অনেক দিনের। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দেখা হলেও একজন আরেকজনের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন না। স্বাভাবিকভাবে তাদের মধ্যে খেলা হলে দর্শকরাও পান বাড়তি উত্তেজনার আমেজ। সোমবার রংপুর রাইডার্স-ফরচুন বরিশাল ম্যাচে তাই ছিল তেমন আবহ। তবে ম্যাচ শেষে আলোচনায় উঠে এসেছে সাকিবের আউটের পর তামিমের উদযাপন। 

টানটান উত্তেজনায় ভরা ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৩ বল আগে ১ উইকেটে হারায় রংপুর। এই ম্যাচে সাকিব-তামিম দুজনেই আগ্রাসী শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। 

আগে ব্যাটিং বেছে ইতিবাচক শুরু পর ২০ বলে ৩৩ রান করা তামিম আউট হন সাকিবের বলেই। সাকিবের মুখোমুখি প্রথম বলেই হকচকিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ভালো অবস্থা থেকে তার দল থামে ১৫১ রানে। তামিমকে ফিরিয়ে সাকিবের উদযাপন ছিলো খুব সাদামাটা।

জবাবে সাকিব ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের ঝড়ে দারুণ শুরু পায় রংপুর। ৮ম ওভারে দলের ৮২ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ১৫ বলে ২৯ করা সাকিব ক্যাচ দেন বাউন্ডারি লাইনে। সাকিব আউট হলে তামিমকে শরীর বাঁকিয়ে মুখ অন্যরকম করে উদযাপন করতে দেখা যায়। এই উদযাপনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে অনেকে মন্তব্য করছেন তামিম ভেংচি কেটেছেন সাকিবকে। 

ম্যাচ শেষে বরিশালের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুশফিককেও জিজ্ঞেস করা হয় এই উদযাপনের কারণ। তামিমের সতীর্থ মুশফিক জানান তার চোখে পড়েনি, তিনি পরে হাইলাইটস দেখে বুঝবেন আসলে কি হয়েছে,  'সত্যি কথা আমি দেখি নাই। আমি দেখেছিলাম ক্যাচটা হয়েছে কিনা শেষ। এরপর কে ব্যাটিংয়ে আসবে কী প্ল্যানিং। সত্যি কথা আমি দেখিই নাই। বললেন এখন হাইলাইটস গিয়ে দেখতে পারি কী হয়েছে।'

সাকিব বল করতে আসার আগে তামিম খেলছিলেন বেশ সাবলীল। সাকিবের মুখোমুখি প্রথম বলেই তিনি বাড়তি চাপ নিয়ে নেওয়ার কারণেই ক্যাচ দিয়ে দিলেন কিনা এমন প্রশ্নও যায় মুশফিকের কাছে। অভিজ্ঞ তারকা জানান পুরো বিষয়টাই ক্রিকেটীয়, অন্য কিছুই নেই এর  ভেতর, 'এর আগে কি তামিম সাকিবের বলে আউট হয় নাই বা তামিম সাকিবের বলে ছয় মারে নাই? ইটস নাথিং। আপনারা যদি ওই বিষয়টা ওভাবে দেখেন তাহলে হতে পারে। যদি না দেখেন তাহলে এটা ক্রিকেটের একটা ব্যাপার। এর আগে যত বোলার বল করেছে কোনো বল ওভাবে গ্রিপ করে নাই বা বাড়তি বাউন্স করে নাই। ও যে লেন্থে বল করেছে সেটা পড়ে স্কিড করে আসার কথা কিন্তু বল পড়ে বাউন্স করেছে। তামিম একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল পুল মারবে নাকি আস্তে করে ফ্লিক করে গ্ল্যান্স করে ১ রান নেবে। সিদ্ধান্তহীনতার জন্য আসলে এতটুকুই লাগে ব্যাটারের (আউট হতে)।' 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English
political parties support election drive

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

17h ago