সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে মনোযোগ যখন অন্যদিকে

Najmul Hossain Shanto
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের সমস্ত ফোকাস সরে যায় শনিবার। বড় চমক হিসেবে লিটন দাসকে একদম স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়ার খবর সরিয়ে দেয় সিরিজের আলোচনা। সেই আলোচনা রোববারও চলমান। এদিন আবার সকাল থেকেই দুই দলের দুই পেসারের চোটের খবরও ছিলো মনোযোগের কেন্দ্রে। অলিখিত ফাইনাল নিয়ে দুই দলের পরিকল্পনার খবর জানা গেছে সামান্যই।

আগের দুই ম্যাচ দিবারাত্রির হলেও সোমবার খেলা হবে পুরোপুরি দিনের আলোয়। আগের দুই ম্যাচে শিশির নিয়ে যেসব হিসেব-নিকেশ তা আর থাকছে না।

চট্টগ্রামের গরমে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পেয়ে দিলশান মাধুশঙ্কা আর  তানজিম হাসান সাকিব ছিটকে গেছেন। শিশিরের মতন এই ক্ষেত্রেও তাই আছে সমতা। মাধুশঙ্কা দুই ম্যাচেই দলের ভালো শুরু এনে বাংলাদেশের উইকেট ফেলেছিলেন। লিটন যে মাধুশঙ্কার বলে দুবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন, সেই মাধুশঙ্কাই নেই দলে। পেশির চোটে তিনি ছিটকে গেছেন লম্বা সময়ের জন্য।

তানজিম রোববার সকাল পর্যন্ত ঠিক ছিলেন। অনুশীলনে এসে কয়েক বল করার পরই টান লাগে তার ডান পায়ে। পরে পাওয়া যায় তার ছিটকে যাওয়ার খবর। তানজিমের বলে নেওয়া হয়েছে হাসান মাহমুদকে।  এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তাই একাধিক পরিবর্তন নিশ্চিত। সব কিছু ঠিক থাকলে শেষ ম্যাচে লিটনের জায়গা নেবেন এনামুল হক বিজয়। অনুশীলনে সৌম্য সরকারের সঙ্গে শুরুতেই পাশাপাশি নেটে পাওয়া গেছে তাকে।

বিজয়ের ব্যাটিং অনুশীলন নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হ্যাম্প। তার খেলার আভাসই স্পষ্ট। তানজিম প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রেখেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচ যায় তার খরুচে। ডানহাতি পেসারের বদলে অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমানের ফেরা এক রকম নিশ্চিত।

বাংলাদেশে একাদশে বদল আসতে পারে আরেকটি। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের জায়গায় বিবেচনায় আছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তাইজুল প্রথম দুই ওয়ানডেতে ভালো করেননি। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করা রিশাদকে তাই খেলানো যেতেই পারে। রিশাদ একাদশে এলে ব্যাটিং লাইনআপ আরেকটু লম্বা হয়ে যাবে স্বাগতিকদের।

প্রতিপক্ষে একাদশেও বদল আছে। ছন্দে থাকা বাঁহাতি পেসার মাধুশঙ্কা ছিটকে যাওয়ায় চামিকা করুনারত্নেকে খেলাতে পারে তারা। এবার ওয়ানডে স্কোয়ডে কেবল তিনজন পেসার নিয়ে এসেছে লঙ্কানরা। চামিকা আছেন পেস অলরাউন্ডার হিসেবে। অনেকটা ব্যাটিং নির্ভর অলরাউন্ডার তিনি। তার অন্তর্ভুক্তিতে দলে ব্যাটিং শক্তি বাড়লেও কমবে বোলিংয়ের জোর। যেহেতু দিনের বেলায় খেলা চামিকাকে না খেলিয়ে বাড়তি একজন স্পিনার নিয়ে নামাও অস্বাভাবিক না।

প্রথম ওয়ানডের ব্যবহৃত উইকেটে হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। উইকেট এমনিতে ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো হলেও মাঝেমধ্যে বল থেমে আসতে পারে। সেদিক থেকে স্লো বোলারদের ভালো করার সম্ভাবনা আছে।

এই ম্যাচে টস নিয়ে খুব একটা চিন্তা থাকবে না কারোরই। টস জিতলে হয়ত দলগুলো তাও আগে ফিল্ডিং করতে চাইতে পারে। সকালের আর্দ্রতায় প্রথম কয়েক ওভার পেস বোলিং ধারালো হুয়ার কথা। এই ওয়ানডে সিরিজের পর লম্বা সময় আর ৫০ ওভারের ম্যাচ নেই। আসছে ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের পারফরম্যান্সের বাস্তবতাও ততদিনে বিস্মৃত হয়ে যেতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP holds meeting with Yunus

Four BNP leaders, led by Khandaker Mosharraf Hossain, reached Yunus' official residence at 7:33pm

1h ago