শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের টেস্ট জেতা উচিত: সাকিব

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হেরে কোণঠাসা বাংলাদেশ দল। দলের নাজুক অবস্থায় দ্বিতীয় টেস্টে ফিরেছেন সাবেক অধিনায়ক ও শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দলে ফেরা এই তারকা বিশ্বাস করেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে তাদের টেস্ট জেতা উচিত।

সিলেটে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সফরকারীদের বিপক্ষে ৩২৮ রানে হারে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসেই দুইশোর নিচে গুটিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিং করেন নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা।

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে ম্যাচ শেষে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি সাকিবের। বিশ্বকাপের শেষ দুই ম্যাচে ছিলেন চোটে। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে ও বাইরে দুই সিরিজে ছিলেন না। এই সময়ের আঙুলের চোট ও চোখের সমস্যা থেকে সেরে উঠার লড়াইয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, ওয়ানডে সিরিজের পর প্রথম টেস্টেও ছিলেন না তিনি। পুরো সিরিজ থেকে ছুটি নেওয়া সাকিব সিদ্ধান্ত বদলে ফেরেন দ্বিতীয় টেস্টে।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে গিয়ে স্কোয়াডে যোগ দেওয়ার কথা তার। এর আগে রাজধানীর উত্তরায় একটি আবাসন কোম্পানির দূত হতে যান সাকিব। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে আশার কথা শোনান তিনি, 'আশা তো সব সময় করি জিতব। টেস্ট ক্রিকেটে সব সময় আমরা সংগ্রাম করেছি। আমাদের জন্য কঠিন। তবে আমি বিশ্বাস করি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।'

চট্টগ্রাম টেস্টের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিন ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। বুধবার বিকেএসপিতে দলের জয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপেও জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত লক্ষ্য নয়, দলের কথাই চিন্তা করছেন তিনি, 'ব্যক্তিগত কোন লক্ষ্য নেই। আমার মনে হয় না ক্রিকেট যতদিন খেলেছি কখনো আমার ব্যক্তিগত কোন লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে চিন্তা ছিলো। সব সময় চিন্তা করেছি দলের হয়ে কীভাবে অবদান রাখা যায়। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারা, প্রতিনিধিত্ব করা গর্বের বিষয়। স্বাভাবিকভাবে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।'

গত বছর এপ্রিল মাসে সাকিব যখন টেস্ট খেলেন তখন তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক। বছর ঘুরতে সেই প্রেক্ষাপট বদলে গেছে অনেকটা। এখন শান্তর অধীনে খেলতে যাচ্ছেন তিনি। জুনিয়র সতীর্থকে নিয়ে অবশ্য আশাবাদী কথা বলেছেন সাকিব, 'খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর নেতৃত্বের)। আমি নিশ্চিত বিসিবি ওকে দীর্ঘ সময়ের কথা চিন্তা করেই দিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে বিকশিত হতে। সবার সমর্থন থাকলে আমার ধারণা ও অসাধারণ ফল করবে।'

Comments

The Daily Star  | English
rising misogyny in Bangladesh

The interim government’s silence over misogyny is tragic

There is chaos and dissent in every corner and no one seems to have a grip on anything.

8h ago