টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ড বইয়ে আছেন যারা

আগের আট আসরে অংশগ্রহণ ও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে রোহিত শর্মা, সাকিব আল হাসান, বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, এবিডি ভিলিয়ার্সরা আছেন বিভিন্ন রেকর্ডের চূড়ায়।

২০০৭ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। ২০০৭ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ভারত। এরপর ২০০৯, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ সালে হয়েছে এই আসর। আগের আট আসরে অংশগ্রহণ ও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে রোহিত শর্মা, সাকিব আল হাসান, বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, এবিডি ভিলিয়ার্সরা আছেন বিভিন্ন রেকর্ডের চূড়ায়।

অংশগ্রহণে রোহিত-সাকিব এগিয়ে

এখনো পর্যন্ত হওয়া সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা স্রেফ দুজন ক্রিকেটার আছেন। একজন ভারত অধিনায়ক রোহিত, আরেকজন বাংলাদেশের সাকিব। ইতোমধ্যে আসছে বিশ্বকাপের জন্য ভারত দল ঘোষণা করেছে। তাতে অধিনায়ক রোহিতই। বাংলাদেশ দল এখনো ঘোষণা না দিলেও তাতে সাকিবের থাকা নিশ্চিত। সেরকম হলে এই দুজন খেলতে যাচ্ছেন টানা নয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে সাকিবের পাশাপাশি থাকলেও ম্যাচ সংখ্যায় এগিয়ে রোহিত। সর্বোচ্চ ৩৯ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সাকিব খেলেছেন ৩৬ ম্যাচ। এছাড়া শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান ৩৫ ম্যাচ খেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্র্যাভো, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার খেলেছেন সমান ৩৪ ম্যাচ।

সবচেয়ে বেশি রান কোহলির

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান ভারতের বিরাট কোহলির। ১ হাজার ১৪১ রান করে অনেকটা এগিয়ে তিনি। এবারও বিশ্বকাপ খেলবেন কোহলি। রান সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ তার। বর্তমানে খেলেন আর কারো ১ হাজার রানও নেই। দুইয়ে থাকা মাহেলা জয়াবর্ধনের রান ১ হাজার ১৬, ক্রিস গেইল ৯৬৫ ও রোহিত শর্মার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রান ৯৬৩।

Shakib Al Hasan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

উইকেট নেওয়ায় সেরা সাকিব

একটা জায়গায় বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা আছেন সবার উপরে। ৮ বিশ্বকাপ খেলে সর্বোচ্চ ৪৭ উইকেট সাকিবের। পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি ৩৯, শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার আছেন ৩৮ উইকেট। এছাড়া পাকিস্তানের সাঈদ আজমল ৩৬, শ্রীলঙ্কার অঞ্জন্তা মেন্ডিস ও পাকিস্তানের উমর গুলের আছে ৩৫ উইকেট। সাকিব ছাড়া কেউই আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলায় রেকর্ডটা আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে পারবেন বাংলাদেশের তারকা।

সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডে ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের। ২০১২ সালে পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১২৩ রান করেছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০৭ সালের আসরে ৫৭ বলে ১১৭ রান করা গেইল আছেন দুইয়ে। ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৪ বলে করেন অপরাজিত ১১৬। এই ইনিংস তিন নম্বরে।

দ্রুততম সেঞ্চুরি

বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড টি-টোয়েন্টির রাজা গেইলের। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দ্রুততমও তার। ২০০৭ বিশ্বকাপে গেইল ৫০ বলে করেন সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বিপক্ষে করা ম্যাককালামের সেঞ্চুরিতে ছিলো ৫১ বলে। এটি তৃতীয় দ্রুততম।

সর্বোচ্চ ছক্কা গেইলের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও গেইলের। ৬৩ ছক্কা মেরেছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং কিংবদন্তি। আর কারো ৫০টি ছক্কাও নেই। দুইয়ে থাকা রোহিত শর্মার ছক্কা ৩৫টি। এছাড়া জস বাটলার ৩৩, শেন ওয়াটসন ও ডেভিড ওয়ার্নারে আছে ৩১টি ছক্কা।

সেরা বোলিং ফিগার অজন্তার

শ্রীলঙ্কার এক সময়ের রহস্য স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস ২০১২ সালের আসরে ৮ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ৬ উইকেট। এটিই এখনো সেরা বোলিং ফিগার। দ্বিতীয় ২০১৪ সালের আসরে রঙ্গণা হেরাথের ৩ রানে ৫ উইকেট।

সর্বোচ্চ ডিসমিসাল ধোনির

প্রথম আসরে ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ভারত। উইকেটকিপার হিসেবে সর্বোচ্চ ৩২ ডিসমিসালে রেকর্ডে সবার উপরে তিনি। পাকিস্তানের কামরান আকমল ৩০ ডিসমিসাল নিয়ে দুইয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীনেশ রামদিন ২৭, শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার ডিসমিসাল ২৬টি। বর্তমানে খেলেন এমন কিপারদের মধ্যে পাঁচে আছেন কুইন্টেন ডি কক। তার ডিসমিসাল ২২টি।

সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ভিলিয়ার্সের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তির নেওয়া ক্যাচ ২৩টি। দুইয়ে ওয়ার্নার ২১টি। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ১৯, অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ভারতের রোহিতের ক্যাচ ১৬টি। কেন উইলিয়ামসন ও ব্রাভোর ক্যাচ ১৫টি। আসছে বিশ্বকাপে ভিলিয়ার্সকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে ওয়ার্নার, ম্যাক্সওয়েলদের সামনে।

Comments

The Daily Star  | English

Gaza still bleeds

Death toll nears 42,000; rallies worldwide calls for ceasefire

2h ago