নিজেদের রান না পাওয়ার পেছনে উইকেটের দায় দেখেন শান্ত
বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে না পারা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে রানের ফোয়ারা ছোটাবেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এমন প্রত্যাশা নিয়ে শুরু হওয়া সিরিজে তিনটি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করেও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রান করতে পেরেছিল ১৬৫। তবে দলের অধিনায়কের সঙ্গে নির্ভরশীল ব্যাটারদের একজন লিটন দাসের ফর্মই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা এখন। তাদের দুজনের দুর্দশাময় সিরিজ কাটানোর পেছনে অবশ্য উইকেটেরও দায় দেখছেন নাজমুল হাসান শান্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে বুধবার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি গণমাধ্যমের। সেখানে অনুমিতভাবেই তার ও লিটনের অফফর্মের কথা উঠে আসে। শান্ত তখন বলেন, 'এটা অনেকে মনে করতে পারে অজুহাত। এই যে (জিম্বাবুয়ে) সিরিজটা আমরা খেললাম, আমার মনে হয় না খুব ভালো উইকেটে খেলেছি আমরা, এমনকি চট্টগ্রামে। দুই তিনটা ম্যাচ কিন্তু আমরা বৃষ্টির কারণে অন এন্ড অফ ব্যাটিং করা লাগছে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা রানে থাকলে দলের জন্য বাড়তি একটা সুবিধা। এবং আমাদের উচিত রান করা প্রতিদিন।'
জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাঁহাতি এই ব্যাটার ৫ ম্যাচে ৮১ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁর স্ট্রাইক রেটও ছিল ১০৪ এর কাছাকাছি। আর লিটন সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে এক শর কম স্ট্রাইক রেটে ৩৬ রান করেছিলেন, পরের দুই ম্যাচে জায়গা পাননি একাদশে। কিন্তু বিশ্বকাপের স্কোয়াডে তাকে রাখার পেছনের কারণ হিসেবে শান্ত বলেন, 'লিটন আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। যদিও কয়েকটা সিরিজ ভালো যায়নি। এটা আমি বিশ্বাস করি এটা হতে পারে। শেষ মুহূর্তে আমরা কেউই চাইনি নতুন একটা খেলোয়াড় দলে চলে আসুক। এরকম বড় টুর্নামেন্টের আগে তার জন্য হয়ত কঠিন হবে। এজন্য আমরা অভিজ্ঞতাকে সেখানে মূল্য দিয়েছি। আমি আশা করি লিটন ভালো করবে।'
সাইফুদ্দিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব- এই দুজনের একজনকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল বাংলাদেশ দলের। নির্বাচক ও ম্যানেজমেন্ট তানজিম সাকিবকে এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখায় বাদ পড়েছেন সাইফুদ্দিন। জায়গা পেতে এই পেস অলরাউন্ডারের লড়াই যেমন হয়েছে তানজিমের সঙ্গে, সেভাবে লিটন-শান্তর প্রতিপক্ষ নেই বলে কী তারা ভাগ্যবান? এমন প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেন, 'আমার কাছে যেটা মনে হয় যে, আপনি ব্যাটসম্যান এবং বোলার, যদি একসাথে সবার সঙ্গে সবার তুলনা করতে চান, তাহলে খুবই কঠিন।'
শান্ত পরে পরিষ্কার করে দেন বিকল্প অন্য কেউ থাকলেও লিটনের মতন ব্যাটারকে বাইরে রাখার কথা ভাবতেন না তারা, 'না (লিটনকে বাদ দেওয়ার চিন্তা করতেন কিনা)। আমরা আরও আগে থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা করছিলাম। আমরা এখান থেকে চেয়েছি যত বেশি প্রস্তুত হয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি। এই সিরিজগুলো থেকে আমরা কীভাবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাব সে চেষ্টাই করেছি। এখানে কেউ ভালো করবে, কেউ করবে না। '
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১১৪.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেও ৩৬ গড়ে শান্ত রান করেছিলেন ১৮০ রান। এবার অফফর্ম সঙ্গে নিয়ে আরেক বিশ্বকাপে গেলেও তাতে কামব্যাকের গল্পই লেখার আশা শান্তর, 'আমার শেষ বিশ্বকাপটায় ভালো স্মৃতি ছিল। আমার মনে হয় ওখান থেকেই ফিরে আসাটা হয়েছিল। এবার আমি বলব যে আমি ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত, অনেক বেশি চিন্তা করছি তা না। আমি কঠোর পরিশ্রম ও উন্নতির জায়গা নিয়ে অনুশীলনে কাজ করে যাচ্ছি। আমি আত্মবিশ্বাসী ভালোভাবে ফিরে আসব।'
Comments