বৃষ্টি না হলে আজই খেলা শেষ করার চেষ্টা করত বাংলাদেশ, বললেন হাসান

ছবি: এএফপি

জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্য। ছোট মনে হলেও টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে তা মিলিয়ে ফেলা সহজ নয়। আর বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে শঙ্কিত হওয়ার কারণই বেশি। এই সংস্করণে এর আগে ৩৬ বার ১৫০ রানের বেশি তাড়ায় নেমে স্রেফ দুবার জিতেছে তারা।

ইতিহাস যেমনই হোক, সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে আলোকস্বল্পতায় ও বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের খেলা থামার আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল ভিন্নধর্মী। পুরো সিরিজে সফরকারীদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠছিল সেখানে। ফলে অতীত পরিসংখ্যানের হতাশা ঝেড়ে জয়ের ভিত হয়ে গেছে প্রস্তুত। বিরূপ আবহাওয়া বাগড়া না দিলে হয়তো আজই হতে পারত পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস।

বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কি? কারণ, গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। তাই রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনেও দেখা যেতে পারে নাটকীয় কিছু। তবে সেসব ছাপিয়ে বাংলাদেশ দল আত্মবিশ্বাসে ফুটছে টগবগ করে। ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস মাত্র ১৭২ রানে থামানোর মূল কারিগর হাসান মাহমুদের কথাতেই সেটা পরিষ্কার।

দিনের খেলা এক সেশন বাকি থাকতেই আগেভাগে শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তরুণ এই ডানহাতি পেসার। তিনি বলেন, আজই জেতার চেষ্টা বাংলাদেশের পরিকল্পনায় ছিল, '(জেতার জন্য কত ওভার লাগবে) এটা আসলে বলা মুশকিল। তবে যদি বৃষ্টি না হতো আজকে, আমরা চেষ্টা করতাম যে আজকের মধ্যে কীভাবে শেষ করা যায় অথবা কীভাবে কালকের প্রথম সেশনে শেষ করা যায়।'

৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৪২ রান তুলেছে টাইগাররা। জয়ের জন্য তাদের চাই আরও ১৪৩ রান। ক্রিজে আছেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা জাকির ২৩ বলে ৩১ রান করেছেন দুটি করে চার ও ছক্কায়। সাদমানের সংগ্রহ ১৯ বলে ৯ রান।

পাকিস্তানের বোলারদের থিতু হতে না দিয়ে ইতিবাচক ব্যাটিং করেছেন দুই ওপেনার। বৃষ্টি নেমে রান তাড়ার সময় কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে তারা এমন কিছু করেননি, মনে করেন হাসান, 'আসলে আমার মনে হয়, তারা বৃষ্টি নিয়ে ভাবেনি। তারা প্রতিটি বল দেখে খেলেছে। বাজে বলকে তারা আক্রমণ করেছে। সেভাবেই প্রতিটি বলকে তারা খেলতে চেয়েছে।'

প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণ শক্তির দলের বিপক্ষে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে তাদের একমাত্র সিরিজ জয়টি ছিল ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বনিবনা না হওয়ায় সেবার খেলেছিল দ্বিতীয় সারির ক্যারিবিয়ান দল। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ভেতরের পরিবেশ দারুণ চাঙা।

হাসান এই প্রসঙ্গে বলেন, 'যখন আপনার দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকবে, তখন তারা নিজেদের চিন্তা, ভাবনা ও অভিজ্ঞতা সব সময় আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে থাকবে। মাঠে হোক কিংবা মাঠের বাইরে। এটাই আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। একজন নতুন ক্রিকেটারের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ব্যাপারে এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সব খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফের সমর্থন পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

7h ago