অধিনায়ক শান্ত নির্ভার রাখলেও চিন্তা বাড়াচ্ছেন ব্যাটার শান্ত

Najmul Hossain Shanto
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্রিকেটে একটা কথা আছে, অধিনায়ককে নেতৃত্ব দিতে হয় সামনে থেকে। নাজমুল হোসেন শান্ত নেতৃত্ব দিচ্ছেন বটে তবে নিজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে নয়।  দল জিতলেও শান্তর ব্যাট বেশ কিছু দিন ধরেই হাসছে না, বিশেষ করে টেস্টে।

মাত্র কদিন আগে পাকিস্তানকে তাদের মাঠে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ পেয়েছে ঐতিহাসিক বিজয়। পুরো সিরিজজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে শান্তর নেতৃত্ব৷ তবে পাশাপাশি চিন্তা বাড়িয়েছে তার ব্যাটিং।

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে একটাই ইনিংসে ব্যাটিং পান তিনি। খুররম শাহজাদের অ্যাঙ্গেল তৈরি করা বলে বোল্ড হওয়ার আগে করতে পারেন ১৬ রান। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও আউট হন একইভাবে, এবার তার সংগ্রহ স্রেফ ৪। দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়ায় ৩৮ রান করেছিলেন বটে, তবে আউট হয়ে যান অসময়ে। তার খেলা সর্বশেষ  ৯ টেস্ট ইনিংসের মধ্যে এই ৩৮ রানই সর্বোচ্চ।  বাকি ৮ ইনিংসে পেরুতে পারেননি কুড়ির গন্ডি।

এরমধ্যে আউটের ধরণগুলোও ছিল বেশ দৃষ্টিকটু।  কখনো উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন, কখনো ফাঁদে আটকা পড়ে টেনেছেন ইতি।

নিজেও তার এই সংকট অনুভব করছেন। তাই পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর বাকি ক্রিকেটাররা যেখানে পরিবার নিয়ে বিশ্রামে, শান্ত ফেরার একদিন পরই গত শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টাইগার্স কোচ সোহেল ইসলামকে নিয়ে করেছেন নিবিড় অনুশীলন। সোহেল অবশ্য এই অনুশীলনের বিস্তারিত জানাতে রাজী হননি। হয়ত টেকনিক্যাল কোন বিষয় নিয়েই কাজ করেছেন তারা।

কদিন পরই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের তুলনায় ভারতের বোলিং অনেক বেশি শক্তিশালী ও বৈচিত্র্যময়। শান্তর জন্য চ্যালেঞ্জটাও তাই বেশি।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শান্ত হতাশ করেছেন। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সর্বশেষ ১৯ ইনিংসে স্রেফ একটা ফিফটি তার। ওয়ানডেতে অবশ্য শেষ ৪ ইনিংসে একটা ফিফটি,  একটা সেঞ্চুরি আছে। তবে ভারতে খেলা হবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। যেখানে ভুগছেন বাঁহাতি ব্যাটার।

১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইতে শুরু হবে বাংলাদেশ - ভারত প্রথম টেস্ট। ভারত যাওয়ার আগে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে মিরপুরে অনুশীলন আছে জাতীয় দলের৷ শান্ত নিজেকে ফিরে পেতে আরও কটা দিন সময় পাচ্ছেন। সেটা তিনি কীভাবে কাজে লাগান তা দেখার বিষয়।  

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

18h ago