উপমহাদেশের জিততে না পারার ধারা ভাঙতে চাই: মহারাজ

উপমহাদেশে সর্বশেষ তারা টেস্ট জিতেছিল ২০১৪ সালে, সর্বশেষ ড্র ছিলো ২০১৫ সালে। এরপর টানা ১৮ টেস্ট হার জানান দিচ্ছে তাদের অবস্থা। তবে এই নেতিবাচক ধারা এবার বদলাতে চান কেশব মহারাজ।
Keshav Maharaj
মিরপুরে অনুশীলনে কেশব মহারাজ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এশিয়ার মাঠে টেস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক রেকর্ড বেশ নাজুক। বিশেষ করে উপমহাদেশে খেলতে এলেই নাস্তানাবুদ হয় তারা। উপমহাদেশে সর্বশেষ তারা টেস্ট জিতেছিল ২০১৪ সালে, সর্বশেষ ড্র ছিলো ২০১৫ সালে। এরপর টানা ১৮ টেস্ট হার জানান দিচ্ছে তাদের অবস্থা। তবে এই নেতিবাচক ধারা এবার বদলাতে চান কেশব মহারাজ। বাংলাদেশকে ভালো দল মানলেও এই বাঁহাতি স্পিনার আশাবাদী ইতিবাচক ফল নিয়ে এবার ফিরতে পারবেন তারা।

উপমহাদেশে ৫২ টেস্ট খেলে ১৫টি জয় আছে প্রোটিয়াদের। তবে সাম্প্রতিক সাফল্য খুঁজতে যেতে হচ্ছে ২০১৪ সালে। গলে শ্রীলঙ্কাকে সেবার হারিয়েছিল তারা। এর আগে দুবাইতে একটি টেস্টে পাকিস্তানকে হারিয়েছিলো তারা।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে বৃষ্টির কারণে দুটি টেস্টই ড্র করে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই বছর বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে একটি টেস্ট ড্র করে।

এই অঞ্চলের স্পিন বান্ধব উইকেটে এরপর টানা খাবি খেয়ে হেরেছে দলটি। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলে বাংলাদেশে ধারা বদলের স্বপ্ন দক্ষিণ আফ্রিকার। এখনো বাংলাদেশের কাছে না হারার রেকর্ড অক্ষত রাখতে আত্মবিশ্বাসের কথা জানালেন মহারাজ,  'আমরা জানি বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুব ভালো দল। তবে আমরাও দেশের বাইরে বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে জিততে না পারার ধারা ভাঙতে চাই। ছেলেরা এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানাতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্ভাব্য যে কন্ডিশন সামলাবো সেটার উপায় খুঁজে বের করতে কাজ করছে সবাই।' 

সর্বশেষ সিরিজে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার চ্যালেঞ্জ ভিন্ন হলেও প্রস্তুতি ভালো হওয়ায় জেতার ভরপুর বিশ্বাস তাদের,  'ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে আমরা কিছু আত্মবিশ্বাস নিয়েছে। বাংলাদেশে আসার আগে একটা দারুণ ক্যাম্প করেছি আমরা। এখানে এসেও দুদিন খুব ভালো সেশন পার করেছি, আরও দুইটা সেশন পাব টেস্টে নামার আগে। আমার মনে হয় ছেলেরা মাঠে নামতে রোমাঞ্চিত।'

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো করতে হলে এই কন্ডিশনে বড় ভূমিকা রাখতে হবে মহারাজকে। বাংলাদেশের স্পিন বান্ধব কন্ডিশনে তার বাঁহাতি স্পিন হতে পারে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেটা টের পেয়ে এখানে সেরা সাফল্যের পথ খুঁজছেন তিনি,  'আমি উপহামহাদেশের কন্ডিশনে ভালো করতে মুখিয়ে আছি। আমি আমার প্রক্রিয়ার উপর আস্থা রাখছি। কোচদের সঙ্গে কৌশল নিয়ে আলাপ করছি। কোন লাইন ও লেন্থে বল করলে এখানে সাফল্য মিলবে এটা খোঁজার চেষ্টা করছি। আশা করছি সমস্ত তথ্য মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারব ও সাফল্য পাব।'  

Comments

The Daily Star  | English

Supreme Judicial Council revived

The Supreme Judicial Council, not parliament, will deal with the allegations against the Supreme Court judges over incapacity or misconduct, according to an Appellate Division verdict yesterday.

5h ago