বাংলাদেশ দলের ‘ব্যাটিং পরিকল্পনা’ দেখে বিস্মিত বুলবুল

aminul islam bulbul

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ আমন্ত্রণে শারজায় গিয়েছিলেন খেলা দেখতে। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নিজ দেশের ভরাডুবিতে ভীষণ হতাশ আইসিসির এই কর্মকর্তা। রান তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং পরিকল্পনাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

বুধবার শারজার মাঠে ২৯ বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ২৯ বছর আগে ১৯৯৫ সালে এই মাঠে যখন শেষবার ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৪২ রান করেছিলেন বুলবুল। সেই ম্যাচও হেরেছিল বাংলাদেশ দল, অবশ্য তখন সামর্থ্যের পিছিয়ে থাকায় বড় দলের বিপক্ষে জেতার প্রত্যাশাও তেমন ছিলো না।

বাংলাদেশ এখন বিশ্ব ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত নাম, টেস্ট মর্যাদারও পেরিয়ে গেছে ২৪ বছর। এখন বিশেষ করে ওয়ানডেতে যেকারো বিপক্ষে জেতাটাই থাকে প্রত্যাশিত। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্তর দল হেরেছে ৯২ রান। ২৩৫ রান তাড়া করতে গিয়ে এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে ১৩৩ থেকে পরে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় দল।

প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারও। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহর মতন অভিজ্ঞদের বদলে চারে পাঠানো মেহেদী হাসান মিরাজকে। তিনি মন্থর ব্যাট করে ৫২ বলে ২৮ রান করে দলের চাপ বাড়ান। পরে অফ স্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরের ঘূর্ণি বল যেন বুঝতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

খেলা দেখে চরম হতাশ হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাবেক অধিনায়ক বুলবুল লিখেছেন,  'ছয় বছর পর আজকে শারজাহতে আফগানিস্তান বোর্ডের আমন্ত্রণে গিয়ে মাঠে বসে বাংলাদেশ দলের ম্যাচ দেখলাম। জয়-পরাজয় তো থাকতেই পারে, কিন্তু অধিনায়কত্ব আর ব্যাটিং পরিকল্পনা দেখে সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। সবকিছুই যেন ক্লান্ত দেখাচ্ছিল—শরীরী ভাষা, বলের প্রতি মনোযোগ, প্রি-বল রুটিন, পুরোটা মিলিয়ে পরিকল্পনা খুবই দুর্বল মনে হয়েছে। আশা করি আমরা খুব শীঘ্রই এই অবস্থার উন্নতি করতে পারব।'

অথচ এই ম্যাচের শুরুটা ছিলো দারুণ। ৩৫ রানে ৪ ও ৭১ রানে আফগানদের ৫ উইকেট ফেলে দিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই জায়গা থেকে মোহাম্মদ নবির ৮৪ ও হাসমতুল্লাহ শহিদির ৫২ রানে ভর করে ২৩৪ করে ফেলে সিরিজের 'হোস্ট' দল।

রান তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিম দ্রুত ফিরে গেলেও সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। তবে এই দুজনেই বিদায় নেন থিতু হয়ে। অনেক সময় নিয়ে থিতু হয়ে কাজ অসমাপ্ত রেখে উইকেট ছুঁড়ে দেন মিরাজও। বাকি প্রত্যেকেই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শারজার মাঠে তাই ছয় ওয়ানডে খেলে এখনো জয় অধরা রয়ে গেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

1h ago