পুরনো সতীর্থকে আইপিএলে ভিন্নভাবে পাচ্ছেন কোহলি

একটা সময় সমান্তরালে চলছিলেন দুজন, এমনকি বিরাট কোহলি থেকেও রানে এগিয়ে ছিলেন তন্ময় শ্রীবাস্তব। দুজনের পথ এরপর গেছে বেঁকে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কোহলি তরতরিয়ে এগিয়েছেন চূড়ায়, জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসে। আর তন্ময় উল্টো পথে হয়ে গেছেন হারিয়ে যাওয়া নাম। তবে ভিন্ন ভূমিকায় ফের আলোচনায় এসেছেন কোহলির সতীর্থ। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই ক্রিকেটার এখন আইপিএলে করবেন আম্পায়ারিং। কে জানে হয়ত কোহলিকেই কোন ম্যাচে আউটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন তিনি!
২০০৮ সালে যুব বিশ্বকাপে কোহলি ছিলেন ভারতের অধিনায়ক। তার নেতৃত্বেই কাপ জিতেছিলো ভারত। সেই দলে ছিলেন ভারতের আজকের তারকা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও। আর ছিলেন তন্ময়। ৩৫ পেরুনো তন্ময় আইপিএলের নতুন আসরে হয়েছেন আম্পায়ার। যে আসরে খেলবেন তার পুরনো সতীর্থরা।
অথচ তন্ময় বড় তারকা হবেন বলেই তখন ভাবা হচ্ছিলো। সেই বিশ্বকাপে ৫২.৪০ গড়ে সর্বোচ্চ ২৬২ রান এসেছিলো তার ব্যাটেই। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালেও দলের সর্বোচ্চ রান করেন তন্ময়। ১৫৯ রানের মধ্যে তন্ময় করেন ৪৬, কোহলি সেদিন করেছিলেন ১৯।
তবে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের সেই দাপট পরে আর দেখাতে পারেননি। সিনিয়র পর্যায়ে এগুতে পারেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যদিও ঠাঁই ছিলো। আইপিএলের প্রথম দুই আসরে ছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে। সেই কারণে একটি রেকর্ডও সঙ্গী হচ্ছে তার। আইপিএলে খেলোয়াড় ও আম্পায়ার দুই ভূমিকায় তিনিই প্রথম।
যুব বিশ্বকাপ জয়ী সেই দলের কোহলি-জাদেজা ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন মানিশ পান্ডে, সৌরভ তিওয়ারি, সিদ্ধার্থ কাউলরা। তন্ময় উত্তর প্রদেশের হয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট খেলেই পার করেছেন। ৯০টি ম্যাচ খেলে ৫ হাজারের মতন রান করেছেন ১০ সেঞ্চুরিতে। তেমন কিছু হচ্ছে না দেখে ৩০ বছরে ছেড়ে দেন খেলা। এরপর শুরু করেন আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার।
আম্পায়ার হিসেবে দ্রুতই উন্নতি হয়েছে তার। বিসিসিআই'র সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছেন। আইপিএলে কোহলি, জাদেজার ম্যাচে তাকে আম্পায়ার হিসেবে দেখা যেতে পারে। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে পুনর্মিলন হবে তার ভিন্নভাবে।
Comments