৪ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে আর্চারের বিব্রতকর কীর্তি

চোটের কারণে আইপিএলের আগের আসরে খেলা হয়নি জফ্রা আর্চারের। এক মৌসুম পর ফিরে প্রথম ম্যাচেই নাস্তানাবুদ হলেন রাজস্থান রয়্যালসের ইংলিশ পেসার। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের বিব্রতকর রেকর্ড এখন তার।
রোববার রাজস্থানের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের বিশাল পুঁজির বিপরীতে সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে আর্চারের ওপর দিয়ে। ৪ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে উইকেটবিহীন থাকেন তিনি। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত কীর্তি মুক্তি মিলেছে ভারতীয় পেসার মোহিত শর্মার। গত আসরে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭৩ রান দিয়েছিলেন তিনি।
আর্চার নিজের নামের প্রতি ন্যূনতম কোনো সুবিচার করতে পারেননি। তিনি ৪ ওভার মাত্র একটি ডট দিতে পারেন। নির্বিষ বোলিংয়ে ১০ চারের পাশাপাশি হজম করেন ৬ ছক্কা। তাছাড়া, দুটি ওয়াইড ও একটি নো বল দেন ২৯ বছর বয়সী তারকা।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আক্রমণে যান আর্চার। ওই ওভারে আসে ২৩ রান। এরপর বোলিং পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় একাদশ ওভার পর্যন্ত। তখন ১২ রানের বেশি দেননি। এক ওভার পর বল হাতে পেলে দিয়ে বসেন ২২ রান। কোটার শেষ ওভার আর্চার করেন হায়দরাবাদের ইনিংসের অষ্টাদশ ওভারে। সেবার হজম করেন ২৩ রান (বাই ৪ রানসহ)। তার ওপর চড়াও হওয়া ব্যাটারদের মধ্যে ছিলেন ট্রাভিস হেড, নিতিশ কুমার রেড্ডি, ইশান কিশান ও হেইনরিখ ক্লাসেন।
আইপিএলের গত আসরে অনুপস্থিত থাকা আর্চারের নাম এবারের মৌসুমের আগে অনুষ্ঠিত মেগা নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল না। তখন তৈরি হয়েছিল নানা জল্পনাকল্পনা। পরে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত দুইদিনব্যাপী নিলামের তিন দিন আগে তালিকায় ঢোকানো হয় তাকে। সেসময় ১২ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে তাকে দলে টানে রাজস্থান।
আর্চার ছাড়া রাজস্থানে আরও দুই বোলার এদিন পঞ্চাশের বেশি রান দেন। ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন শ্রীলঙ্কান অফ স্পিনার মাহিশ থিকশানা। ভারতীয় পেসার সন্দীপ শর্মা একটি উইকেট নিতে ৪ ওভারে খরচ করেন ৫১ রান।
Comments