বাংলাদেশকে হারানোর ‘খুব ভালো সুযোগ’ দেখছেন জিম্বাবুয়ের বেনেট

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন দলটির ওপেনার ব্রায়ান বেনেট।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ উইকেট নেওয়ায় জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেমেছে ২৭৩ রানে। আগের দিনের বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে তারা মাঠে নেমেছিল। এরপর সোমবার দিনের শেষে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে। হাতে ৯ উইকেট নিয়ে তারা এখনও ২৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে। প্রথম দিনে টাইগাররা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছিল ১৯১ রানে।

সফরকারীদের পক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৬৪ বলে ৫৭ রান করেন বেনেট। দ্বিতীয় দিনশেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমাদের আগের দিনের শেষবেলার ব্যাটিং পারফরম্যান্স এবং বাংলাদেশকে ১৯১ রানে অলআউট করে দেওয়ার পর আমার মনে হয়, খেলা এখন ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে আছে।'

তিনি যোগ করেন, 'এদিন সন্ধ্যায় (সাদমান ইসলামের) উইকেট তুলে নেওয়ায় আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি বলে মনে করছি। আগামীকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হতে চলেছে।'

তৃতীয় দিনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার সুযোগ দেখছেন জিম্বাবুয়ের বেনেট। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, 'এই খেলা জেতার দারুণ সুযোগ রয়েছে আমাদের। আমরা এখনও ২০-৩০ রানে এগিয়ে আছি। আমাদের বোলাররা আজ রাতে বিশ্রাম নেবে এবং আগামীকাল কঠোর লড়াই করার জন্য মাঠে ফিরবে। এই টেস্টে এখনও অনেক সময় বাকি আছে। তাই যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে।'

পিচের আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে এবং সামনের দিকে ব্যাটাররা আরও সাহায্য পাবে বলে মত তার, 'এখন ব্যাট করা একটু সহজ হচ্ছে। এখনও কিছুটা টার্ন আছে উইকেটে। তবে পেসাররা গতকালের তুলনায় পিচ থেকে বেশি সুবিধা পাচ্ছে।'

এদিনের শেষদিকে জিম্বাবুয়ে কয়েকটি ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে। তবে বেনেট জানান, তারা ইতিবাচক মেজাজে আছেন, 'কেউ ক্যাচ ফেলতে চায় না। আমাদের পরস্পরকে সমর্থন করতে হবে। আমরা কারও উপর ক্ষোভ ঝাড়ব না। আগামীকাল আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।'

২০১৮ সালে সিলেটেই বাংলাদেশকে টেস্টে হারিয়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। বেনেট বলেন, সেই জয়ের সুখস্মৃতি থেকে দলটি অনুপ্রেরণা নিতে চায়, 'বাংলাদেশের মাটিতে আমরা তেমন একটা টেস্ট জিততে পারি না। বর্তমানে আমরা যে ধরনের অবস্থানে আছি, সেকারণে আমাদের মনে হচ্ছে, আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে। স্কোয়াডের ১৫ জন খেলোয়াড়ের উপরই আমাদের আস্থা আছে।'

সিলেট টেস্টে এখন পর্যন্ত প্রায় সমানে সমানে লড়াই চলতে থাকায় তৃতীয় দিনের খেলার গতি-প্রকৃতি দুই দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Lives on hold: Workers await reopening of closed jute mills

Five years on: Jute mill revival uneven, workers face deepening poverty

15h ago