শ্রীলঙ্কা সফরে যা চান শান্ত

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ সহজে হোয়াইটওয়াশ করবে এমনটাই ছিলো প্রত্যাশা। কিন্তু সিলেটে দলের ভিত নাড়িয়ে দেওয়া হার সব হিসেবে এলোমেলো করে দেয়। চট্টগ্রামে ইনিংস ব্যবধানে জিতলেও সিরিজ না জেতার কারণে ঠিকমতো উৎসবটা করতে পারেনি স্বাগতিক দল। এই সিরিজেও দলের কিছু কঙ্কাল বেরিয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কায় পরের টেস্ট সিরিজে এসব জায়গায় সমাধান চান নাজমুল হোসেন শান্ত।
বুধবার চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে তিন দিনে হারিয়ে মাঠের উদযাপন সারার পর পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে অতটা লাফালাফির অবস্থা থাকেনি৷ সিরিজের ট্রফি যে ভাগাভাগি করতে হয়েছে জিম্বাবুয়ে সঙ্গে। ২০২৫ সালে এসেও টেস্ট সিরিজের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সমানে সমান। অথচ জিম্বাবুয়ের জৌলুস গত হয়েছে কত আগে৷ এবারের দলটি তো ২০১৮ সালের চেয়েও দুর্বল। এদের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করে বাড়াবাড়ি করা বেমানান হতো।
বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বুদ্ধিমান মানুষ। তিনি ঠিকই আবহ আঁচ করতে পারেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাদের যে ঘাটতি তা যেভাবে বেরিয়ে এসেছে আবার তা নিয়ে নিজে থেকেই আলাপ তুললেন।
বাংলাদেশের মূল ব্যাটাররা টেস্ট টেম্পারমেন্টের ব্যাটিং এখনো রপ্ত করতে পারেননি। পেস বা স্পিনারদেরও সহায়ক কন্ডিশন না পেলে একটু হাঁসফাঁস লাগে।
বাংলাদেশের পরের টেস্ট সিরিজ আসছে জুনে, শ্রীলঙ্কায়৷ সেটা আবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। শান্ত বলতে চাইছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টটা তারা খুব বাজে খেলেছেন, আদতে তারা যে এমন দল নন সেই প্রমাণ চট্টগ্রামে দিতে চেয়েছেন।
শ্রীলঙ্কা সফরে তাই তার আছে কিছু চাওয়া, 'শ্রীলঙ্কা সিরিজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাইব টপ অর্ডারে যেন আরও বড় রান হয়, কেউ যেন ৪০ রান করে আউট না হয়ে যায়, ১০০ করে। এখানে চাইব লম্বা ইনিংস হোক, লম্বা মানে অনেক লম্বা। যেটা সম্ভব, শ্রীলঙ্কায় ভালো উইকেট থাকে। চাইব পেসাররা যেন ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারে।'
জিম্বাবুয়ে সিরিজে আক্ষেপের ভিড়ে প্রাপ্তিও দেখছেন শান্ত। যেটা পরেও ধরে রাখতে চান, 'আমার মনে হয় তাইজুল (ইসলাম) ভাই প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ের পর এই ম্যাচে যেভাবে কামব্যাক করেছেন। ওপেনিং জুটি সাদমানের (ইসলাম) ভালো ১০০, (এনামুল হক) বিজয় এতদিন পর দলে আসার পর সুন্দর ব্যাটিং করেছে যদিও বড় রান হয়নি। ওপেনিংয়ে এই জায়গাটা অনেক ভালো লেগেছে। এখানে ধারাবাহিক হতে হবে। (তানজিম)সাকিবের ব্যাটিংটা অনেক ভালো লেগেছে। টেইলে অতীতে দেখেছি তাইজুল ভাই অনেক বল ফেইস করেছে, সাকিবের ব্যাটিংটা দারুণ ছিলো।'
Comments